তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বাগদার কুড়ুলিয়ায় ওই কর্মিসভায় পার্থ প্রথম থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তাঁরা রাতের অন্ধকারে মানুষের কাছে গিয়ে পা ধরে ক্ষমা চান। তাঁরা বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে যাবেন না। দূরে ভিড়ের মধ্যে থাকবেন। এটাই আপনাদের শেষ সুযোগ। নিজেদের শুধরে নিন।’’
তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরের সমর্থনে পার্থ এ দিন বয়রা পঞ্চায়েত এলাকার দলীয় কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সাংসদের হুঁশিয়ারি শুনে সভায় উপস্থিত সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরে পার্থ বলেন, ‘‘কর্মীরা মন খুলে কথা বলেছেন সভায়। আমরা মত বিনিময় করেছি। এটাই আসল তৃণমূল।’’ জানা গিয়েছে, বাগদা ব্লক অফিসের ‘দুর্নীতি’ প্রসঙ্গে কর্মিসভায় সরব হয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। যদিও এ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
দলীয় কর্মীদের একাংশের প্রতি পার্থের হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘এ সব নাটক করে লাভ হবে না। বাগদার সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না।’’