শিশু সুরক্ষা কমিটির আধিকারিকেরা এ দিন সেখানে আলোচনা করতে গেলে অভিভাবক ও নাবালিকা আবাসিকদের একাংশ তাঁদের আটকে রাখে। ওই আধিকারিকদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে নাবালিকারা ইট ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। তাতে অবশ্য কোনও পুলিশকর্মী জখম হননি। আধিকারিকদের দু’টি গাড়িতে ভাঙচুরও চালানো হয়। পাল্টা পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ আশ্রমের দুই কর্মীর। পুলিশ এ কথা মানেনি। পরে আরও পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার করা হয় ওই আধিকারিকদের।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ হওয়ার পর থেকেই পরিমলের খোঁজ মিলছে না। পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এ দিন শিশু সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে অভিভাবকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানেই অভিভাবকদের একাংশ ও পড়ুয়ারা এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ ওই কমিটির আধিকারিকদের উদ্ধারে গেলে আবাসিকরা ওই কাণ্ড ঘটায়। ওই পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘আধিকারিকদের বের করে আনা হয়েছে। তবে, লাঠি চালানো হয়নি। কাউকে মারাও হয়নি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই আশ্রমের আবাসিক ও তাদের অভিভাবকদের এক পক্ষ পরিমলের পক্ষে। অন্য পক্ষ বিপক্ষে। এ দিন শিশু সুরক্ষা কমিটির আধিকারিকেরা অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তা শুনে যাঁরা পরিমলের পক্ষে, সেই সব অভিভাবকই আপত্তি তোলেন। তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাতে শামিল হয় নাবালিকা পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পরিমল নির্দোষ। তারপরেই পরিস্থিতি জটিল হয়।
সন্ধ্যায় ডিসিপি (সদর) ঈশানী পাল এসে উপস্থিত হন। তাঁর সামনেই আবাসিকেরা তাদের উপরে পুলিশের লাঠি চালানোর অভিযোগ তোলেন। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা।
আশ্রমের দুই মহিলা কর্মীর অভিযোগ, ‘ছোট ছোট মেয়েদের উপর পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। তাদের মারা হয়েছে বলে অভিযোগ আবাসিকদেরও। পুলিশের পাল্টা দাবি, ইটের আঘাতে কেউ আহত হয়ে থাকতে পারে।