বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘মাত্র পাঁচটা বাড়ি নিয়ে জয়পুর যদি পিঙ্ক সিটি হতে পারে, তাহলে রাজ্যের নিজস্ব রং এখানে কেন মানা হচ্ছে না? উত্তরবঙ্গের সব বাড়িতে লাল বা গেরুয়া টিন লাগিয়ে দিয়েছে। যারা ওই টিন সরবরাহ করে তাদেরবলতে হবে, এটা আমাদের রাজ্যের রং নয়। মুখ্যসচিব এই কাজ করবেন। যে যেমন খুশি জামাকাপড় পরতে পারে। নিজের ইচ্ছেমতো বাড়িও তৈরি করতে পারে । কিন্তু বাড়ির ছাদ লাল, গেরুয়া করে দেবে কেন?’’ প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের অনেকের অবশ্য প্রশ্ন, তবে কি মুখ্যসচিব টিনের সরবরাহকারীদের ডেকে জানাবেন, রাজ্যের নির্ধারিত রং ছাড়া অন্য রঙের টিন আনা যাবে না?
মমতা এ দিন কেন্দ্রকেও নিশানা করে বলেন, ‘‘মেট্রো স্টেশন সব গেরুয়া করে দিয়েছে। দলের রং কেন থাকবে? আমার দলের রং তো ব্যবহার করি না!..পূর্ত দফতরকে বলব, নবান্নের রং সবাইকে পাঠাতে হবে। মুখ্যসচিবের মাধ্যমে সব দফতরে যাবে।’’
বিধানসভায় বিজেপির সচেতক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর অমানবিক মুখ খুব দ্রুত প্রকাশ পেয়েছে। যে কোনও দখলদারির পিছনে দিদিমণির দুষ্টু-দামাল ভাইয়েরা। উনি লাল, গেরুয়া বলে কী বোঝাতে চাইছেন? পুরসভা নির্বাচনের আগে পুর-এলাকাগুলো তো বিরোধীমুক্ত করেছিল তৃণমূল। তা হলে সেই নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করা হোক।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বাড়ির রং নীল-সাদা করলে কর ছাড় মিলবে। লোকে তাতে সাড়া দেয়নি। কে কোন রং পছন্দ করবেন, সেটা মানুষের স্বাধীনতা। কে কী খাবে, বিজেপির সরকার ঠিক করে দিতে চায়, মুখ্যমন্ত্রীও এক রঙে সব রাঙাতে চান!’’