• ‌মেহতা বিল্ডিং পুড়ে যাওয়ায় বাজার বন্ধ, জীবনদায়ী ওষুধ নষ্টের আশঙ্কা...
    আজকাল | ২৮ জুন ২০২৪
  • আজকালের প্রতিবেদন:‌ মেহতা বিল্ডিংয়ে অবিলম্বে বৈদ্যুতিক–পরিষেবা চালু না করলে বহু জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে তাই সেখানে বৈদ্যুতিক–পরিষেবা চালুর জন্য সিইএসসি–এর কাছে আবেদন জানিয়েছে ওষুধ সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (‌বিসিডিএ)‌। মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বড়বাজারের পাইকারি ওষুধের বাজার মেহতা বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায়। ঘটনার পর বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় দু’‌দিন। কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ–পরিষেবা বিচ্ছিন্ন রয়েছে ওই মার্কেটের সবকটি দোকানেই। ৮০০–রও বেশি ওষুধের দোকান রয়েছে সেখানে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জীবনদায়ী ওষুধও রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে সেই ওষুধগুলি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। যার ফলে চিন্তিত স্টোর মালিকরা। তাঁরা বলছেন, তাঁদের স্টোরগুলিতে যেসব ওষুধ রয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে, যেগুলি ফ্রিজ ছাড়া রাখা যায় না। ফলে সেগুলি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে চলেছে।

    ক্যালকাটা হোলসেল মেডিসিন মার্কেটের এরিয়া কমিটি অফ বিসিডিএ–এর তরফ থেকে বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক–সম্মেলন করে জানানো হয়, যদি অবিলম্বে বৈদ্যুতিক–পরিষেবা মেহতা বিল্ডিংয়ে না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে অনেক জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট হয়ে যাবে। এশিয়ার বৃহত্তম ওষুধের বাজার বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ না, এ রাজ্যের বাইরেও ওষুধের ঘাটতি দেখা যাবে। প্রত্যেকদিন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাইরের রাজ্যেও ওষুধ পাঠানো হয় এই পাইকারি ওষুধের বাজার থেকে। ইতিমধ্যেই তাদের তরফ থেকে দমকল, সিইএসসি এবং কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বৈদ্যুতিক–পরিষেবা দেওয়ার জন্য। মেহতা বিল্ডিংয়ের যে অংশে আগুন লেগেছে, সেই অংশ ছাড়া অন্য দোকানগুলি যদি খুলে না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ওষুধের বাজারে ঘাটতি পড়বে বলে জানান সভাপতি স্বপনচন্দ্র দত্ত, সম্পাদক সঞ্জীবকুমার দাস, খোকন পাল প্রমুখ। ‌
  • Link to this news (আজকাল)