• মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর গড়িয়াহাটে দেবাশিস কুমার, শুরু হকার-সমীক্ষা
    আজ তক | ২৮ জুন ২০২৪
  • কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জবরদখল করে হকারি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর  নির্দেশের পরই অভিযান চালাতে শুরু করেছে পুলিশ-প্রশাসন। বুলডোজার দিয়ে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করে মমতা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে হকারদের। সেই সঙ্গে স্থানীয় পুরপ্রতিনিধিদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন। নেত্রীর নির্দেশমতো শুক্রবার রাস্তায় নামলেন বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। গড়িয়াহাট ঘুরে দেখেন তিনি।  

    রাজ্যজুড়ে হকারদের একই ধরনের স্টল এবং মালপত্র রাখার জন্য আলাদা ভবন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি শুক্রবার থেকেই সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। গড়িয়াহাটে দেবাশিস কুমার বলেন,'আজকে মূলত সার্ভে করা হচ্ছে। রিপোর্ট কমিটির কাছে জমা হবে'। এই সমীক্ষায় হকারদের দেওয়া হচ্ছে একটা করে ফর্ম। স্টল সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য, কতদিন ধরে হকারি করছেন, কতগুলি ডালা রয়েছে, তা জানাতে হবে।  সেই রিপোর্ট জমা পড়বে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিতে।

    শুক্রবার সকালে কলকাতা পুরসভার বোরো আর্টের অফিসে বিধায়ক দেবাশিস কুমারের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষেই সমীক্ষা করতে গড়িয়াহাটে পরিদর্শন করেন দেবাশিস কুমার। নবান্ন সভাঘরেই দেবাশিস কুমারকে গড়িয়াহাটে জায়গা খুঁজে বার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ডেপুটি মেয়র এবং বিধায়ক অতীন ঘোষ, বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার সকাল ১০ টায় দক্ষিণের গড়িয়াহাট এলাকা থেকে সমীক্ষা শুরু করেন। মধ্য কলকাতার ধর্মতলা নিউ মার্কেট এলাকা হয়ে উত্তরের শ্যামবাজার হাতিবাগান এলাকা পরিদর্শনের কথা। কোন স্টল ফুটপাতে কতটা জায়গা জুড়ে আছেন, তাঁদের স্টল বা ডালার জন্য কতটা জায়গা বরাদ্দ করা আছে, যদি না থাকে তাহলে তাঁদের নিকটবর্তী কোনও অন্য জায়গায় বিকল্প পুনর্বাসন কীভাবে দেওয়া যেতে পারে? রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীকে জমা দেবেন।

    গড়িয়াহাট নিয়ে কী বলেছিলেন মমতা?

    মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,'গড়িয়াহাটে তো হাঁটার জায়গা নেই। আমি মিছিল করার দিন দেখলাম, স্টল দেওয়া হয়েছে চারপাশটা খোলা রেখে। পিছন দিকটা আপনারা পুরসভা থেকে ব্যবস্থা করে দিন। প্লাস্টিক দেবেন না। কোনও একটা কিছু করতে হবে, যা ফায়ার ফ্রি। ওদের কালো প্লাস্টিক লাগানোর প্রয়োজন নেই। গ্র্যান্ড হোটেল, পুরসভার গায়ে হকার বসে গিয়েছে। বলছি না সরিয়ে দেওয়া হোক। আমি বলছি, নির্দিষ্ট জোন করে দেওয়া হোক। একটা দিক ফাঁকা থাকবে। তাঁদের একই ধরনের স্টল করে দেওয়া হোক। এমন একটা মেটারিয়াল দিন, যাতে জল না ঢোকে'।
  • Link to this news (আজ তক)