স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়িতে বোমা মারার জন্য ৩টি তাজা বোমা কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে গেল এক ব্যক্তি। তারপর সেই ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হল পুলিশের হাতে। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের উত্তর কাশিপুর থানার রঘুনাথপুর এলাকায়।অভিযোগ, স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়িতে বোমা মারার জন্য ৩টি তাজা বোমা কিনেছিল সালাউদ্দিন মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি। কিন্তু মাঝপথেই সে ধরা পড়ে যায় গ্রামবাসীদের হাতে। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপরেই তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড় এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী রঘুনাথপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আর সেই কথা জানার পরেই স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়িতে বোমা মারার পরিকল্পনা করে সালাউদ্দিন। পরিকল্পনা মতো ৩টি বোমা কিনেও ফেলে সে। এরপর স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়িতে যাওয়ার পথেই ধরা পড়ে যায় গ্রামবাসীদের হাতে। তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই খবর যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাঙড়ের উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ। সালাউদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ওই ব্যক্তি কার বা কাদের কাছ থেকে বোমাগুলি কিনেছিল, কী ভাবে বোমা কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হল, সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে ওই ব্যক্তি স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়িতে হামলার জন্যই বোমাগুলি কিনেছিল, নাকি তার অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল, সেই দিকটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে কিছুদিন আগে হুগলির বৈদ্যবাটিতে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ ওঠে স্ত্রীয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। জানা যায়, আদতে হাওড়া মাকরদার বাসিন্দা দীপঙ্কর কুণ্ডু (৪৪) হুগলির বৈদ্যবাটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মানিক ঘোষের বাগান এলাকায় স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন দীপঙ্কর। তাই রোজ বাড়ি ফিরতে পারতেন না। আর সেই সুযোগেই প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে দীপঙ্করের স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে ঘিরে স্বামী ও স্ত্রীয়ের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। জামাইষষ্ঠীতে দীপঙ্করকে বৈদ্যবাটিতে ডাকেন তাঁর স্ত্রী। আর সেখানেই দীপঙ্করের স্ত্রীয়ের প্রেমিক তাঁকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।