ঢেলে সাজানো হতে চলেছে রানাঘাট স্টেশনকে। এই মুহূর্তে পূর্ব রেলের থার্ড লাইনের কাজ চলছে জোর কদমে। আর এই থার্ড লাইনের মাধ্যমেই আগামীদিনে নৈহাটি জংশনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে রানাঘাট জংশন রেলওয়ে স্টেশন। ফলে রানাঘাট স্টেশনের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ এবং বাণিজ্যের নিরিখেও বাংলার এই স্টেশনের গুরুত্ব আরও বাড়তে চলেছে।এবার রানাঘাট স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর জন্য উদ্য়োগ নেওয়া হতে চলেছে পূর্ব রেলের তরফে। এই স্টেশনকে অত্যাধুনিক মডেল স্টেশনে পরিণত করার জন্য ব্যয় করা হতে চলেছে ১০০ কোটি। বিভিন্ন প্রকল্পের রূপায়ণ করা হবে। আর এই লক্ষ্যে প্রথম পর্বের টেন্ডার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ৩০ কোটির একটি টেন্ডার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রানাঘাট স্টেশনকে অত্য়াধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। এর আগে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল শান্তিপুর, কল্যাণী, গেদে, কৃষ্ণনগরের ক্ষেত্রে। নৈহাটি স্টেশনের সঙ্গে রানাঘাট যুক্ত হওয়ার পর উত্তরবঙ্গগামী একাধিক ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে ছুটবে। শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেনের নিরিখে নয়, পণ্যবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বাড়তে চলেছে সংশ্লিষ্ট স্টেশনের। স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ততাও বাড়বে রানাঘাট স্টেশনের।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বছরে রানাঘাট স্টেশন থেকে আয় হয় প্রায় ১৫ কোটি। আগামীদিনে এই স্টেশনের গুরুত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আয়ও বাড়বে বলে আশাবাদী উচ্চ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, এই স্টেশনে নতুন ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা হবে। এছাড়াও থাকবে চলমান সিঁড়ি। সম্প্রসারণ করা হবে কয়েকটি প্ল্যাটফর্মও। সেগুলির মাথার উপর ব্যবহার করা হবে শেড। পাশাপাশি একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এই স্টেশনকে কেন্দ্র করে। সেখানে অত্যাধুনিক পরিষেবা থাকবে। যেমন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়, শিশুদের খেলার জায়গা সেখানে থাকতে পারে।
দুই বছরের মধ্যে এই স্টেশনের খোলনলচে বদলে ফেলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনগুলিো রেলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য়ের নিরিখে এই উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
চলমান সিঁড়ি থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ হলে বহু মানুষ তাতে উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে সঠিকভাবে পরিষেবা পায় সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বহু যাত্রী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।