• রাতে মেঝেতেই শুয়েছিলেন! অনির্বাণ দত্তের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন শ্বশুর
    এই সময় | ২৮ জুন ২০২৪
  • করোনার সময় রোগীদের মানসিক অবসাদ থেকে বার করতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন 'মিউজিক থেরাপি'। নেটমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চর্চা ছিল বিস্তর। সদ্যপ্রয়াত জনপ্রিয় গায়ক-চিকিৎসক অনির্বাণ দত্তের মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। কেন ময়নাতদন্ত না করে তড়িঘড়ি তাঁর দেহ সৎকার করা হল? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসকের প্রাক্তন স্ত্রী এবং একাধিক চিকিৎসক সংগঠন।মঙ্গলবার মৃত্যু হয় অনির্বাণের। এরপর তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ জানান। অনির্বাণের একমাত্র সন্তানের অভিভাবক হিসেবে চিকিৎসকের প্রাক্তন স্ত্রী শর্মি চট্টোপাধ্যায় বহরমপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাঁর ছেলেকে মৃত্যুর খবর দেওয়া হল না এবং শেষবার দেখার সুযোগ না দিয়েই দেহ সৎকার করা হল? কেন স্থানীয় হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসকের থেকে নেওয়া হল ডেথ সার্টিফিকেট? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।

    এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন অনির্বাণ দত্তের শ্বশুর। মৃতের শ্বশুর শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '৪ মাস ১৩ দিন আগে আমার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় অনির্বাণের। ও অসুস্থ হওয়ার পর আমাদের যা ঠিক মনে হয়েছে আমরা তাই করেছি। ওকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। পরে একটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে ঘাগড়াঘাট শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।'

    তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন রাতে অ্য়াসিডিটিতে ভুগছিলেন অনির্বাণ। তিনি স্ত্রীর থেকে অ্যান্টাসিড নিয়েছিলেন এবং তা খেয়ে ঘুমোতে যান। কিন্তু, বিছানায় ঘুম না আসায় মেঝেতে শুয়েছিলেন।’ অনির্বাণ দত্ত রাজ্য ডক্টর হেলথ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। বুধবার বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের প্রাক্তন স্ত্রী শর্মি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'মৃত্যুর আগের দিন একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন করে ছেলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন অনির্বাণ। ছেলেকে শেষকৃত্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি।'

    বৃহস্পতিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও নবান্নে চিঠি দিয়েছে ডক্টর হেলথ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। ডক্টর হেলথ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংস্থার সাধারণ সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় অনির্বাণের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে মুখ্য সচিবকে চিঠি লেখেন। পাশাপাশি চিঠির প্রতিলিপি স্বাস্থ্য দফতরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি সহ সাত জায়গায় পাঠান। এই চিকিৎসকের মৃৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
  • Link to this news (এই সময়)