সরকারি জমিতে দু’তলা বাড়ি, খবর পেয়েই নির্মাণ রুখল পুলিশ-পুরসভা
এই সময় | ২৯ জুন ২০২৪
সরকারি জায়গা দখল করে হচ্ছিল অবৈধ নির্মাণ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি তা বন্ধ করল পুরসভা। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। বর্ধমান শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট পুরাতন বাজার এলাকায় সরকারি জমির উপর দোতলা বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ২৪ মার্চ বর্ধমান থানার পুলিশকে নিয়ে অভিযানে যান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। তখনও সেই বাড়িটির দোতলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। পুরপ্রধান সেই কাজ বন্ধ করে দেন। তবে যিনি এই নির্মাণকাজ করছিলেন সেই বাড়ির মালিক বিশ্বজিৎ ভক্তের দেখা পাওয়া যায়নি।অভিযোগ, পুরসভার নির্দেশ অমান্য করে সম্প্রতি সেই নির্মাণ কাজ ফের শুরু করা হয়েছিল। এরপর বিষয়টি নজরে আসার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দু'জনকে আটক করে পুলিশ। পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, সরকারি জায়গা দখল করে বেআইনিভাবে বাড়ি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নবান্নে রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকার চেয়ারম্যান, মেয়র এবং রাজ্যের পুরনগরোন্নয়নমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জমি জবরদখল নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন। কোথাও জমি জবরদখল হলে তা বরদাস্ত করা হবে না এবং সঙ্গে সঙ্গে ‘অ্যাকশন’ নিতে হবে, স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু ঘটনার জন্য বাংলার ভাবমূর্তির উপর প্রভাব পড়ছে, এই বার্তাও শোনা গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠে।
এদিনের বৈঠক থেকে দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে দফতরের আধিকারিক, সকলকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ মাল্টিপল ইন্টারেস্টেড গ্রুপ এই কাজ করছে। খালি জায়গা দেখা মাত্রই লোক বসাচ্ছে। রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে কিছু মানুষের টাকা খাওয়ার জন্য।'
এরপরেই ভূমি সংস্কার দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদে আনা হয় বিবেক কুমারকে। ভূমি রাজস্ব দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব ছিলেন মনোজ পন্থ। পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিনোদ কুমারকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা স্পষ্ট ছিল যে কোনওভাবেই জবরদখল বা সরকারি জমি অধিগ্রহণ বরদাস্ত করা হবে না। এবার এই ধরনের ঘটনা সামনে আসাতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করল বর্ধমান পুরসভা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।