• দূষণ রোধে ফসলের গোড়া না পুড়িয়ে জ্বালানি তৈরির যন্ত্র আনছে রাজ্য সরকার...
    আজকাল | ২৯ জুন ২০২৪
  • বিভাস ভট্টাচার্য: নাড়া পোড়া থেকে তৈরি হওয়া দূষণ রোধে নতুন উদ্যোগ রাজ্য পরিবেশ দপ্তরের। নাড়া অর্থাৎ ফসল কাটার পর মাঠে পড়ে থাকা গোড়া থেকে যন্ত্রের সাহায্যে

    তৈরি করা হবে জ্বালানি। সেই জ্বালানি ব্যবহার করা যাবে ধোঁয়াবিহীন চুল্লিতে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায়। দেখে নেওয়া হচ্ছে যন্ত্রের কার্যক্ষমতা। সবকিছু ঠিক থাকলে অচিরেই এই যন্ত্র তুলে দেওয়া হবে রাজ্যের কৃষি ও পঞ্চায়েত দপ্তরের হাতে।

    রাজ্য পরিবেশ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, 'ফসল কাটার পর তার যে অংশ মাটিতে থাকে সেই অংশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ধান কাটার পর কৃষকরা জমিতে পড়ে থাকা খড় পুড়িয়ে দেয়। এর থেকে যে ধোঁয়া তৈরি হয় তা ছড়িয়ে পড়ে এক বিরাট অংশ জুড়ে। ফলে তৈরি হয় দূষণ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা বা বহুভাবে সতর্ক করার পরেও গোটা দেশে এই প্রবণতা বন্ধ করা যায়নি। হুগলিতে যেমন তারকেশ্বর, গোঘাট এবং আরও বেশ কিছু জায়গায় আমন ধান কাটার পর আলু চাষের জন্য জমি ফাঁকা করতে কৃষকরা জমিতে পড়ে থাকা খড় পুড়িয়ে দেন। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এই দূষণ আটকাতে এবং পড়ে থাকা নাড়া জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে এই যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হবে। আপাতত পরীক্ষা করে যন্ত্রের কার্যকারিতা দেখে নেওয়া হচ্ছে।'

    কীভাবে কাজ করবে এই যন্ত্র? উত্তরে ওই আধিকারিক বলেন, 'খড় ও অন্যান্য অবশিষ্টাংশ যন্ত্রে ঢোকার পর ছোট ছোট টুকরো হয়ে যাবে। তারপর চাপ দিয়ে শক্ত করে দেবে যন্ত্র। তৈরি হবে ধোঁয়াবিহীন জ্বালানি। যা ব্যবহার করা যাবে ধোঁয়াবিহীন চুল্লিতে।'

    আর শুধু নাড়া থেকেই নয়, বাড়িতে তৈরি হওয়া দহনযোগ্য জঞ্জাল থেকেও এই যন্ত্রের সাহায্যে জ্বালানি তৈরি করা যাবে।

    ওই আধিকারিক বলেন, 'একটি বড় এলাকার কেন্দ্রস্থলে এই যন্ত্র বসানো হবে। আশেপাশের এলাকা থেকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে নাড়া এবং জঞ্জাল। যা থেকে তৈরি হবে জ্বালানি। কারখানার মতো চলবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাহায্যেও তা পরিচালিত হতে পারে।'
  • Link to this news (আজকাল)