গোবিন্দ রায়: কলকাতা বন্দরের জমি দখল এবং উচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট। ১০০ বছর ধরে দখল করে কোনও জমিতে বাস করলেও সেই জমির প্রতি দখলদারদের অধিকার জন্মায় না, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির।
এর আগে মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে হেলেন কেলার সরণীতে তাদের জমি দখল করে পার্টি অফিস গড়ে উঠেছে এই অভিযোগে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই মামলাতেই পুলিশকে উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। গত সোমবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, বিনা নোটিসে উচ্ছেদ সম্ভব নয়। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয় যে উচ্ছেদ অভিযান শুরুতেই থমকে যায়।
শুক্রবার বন্দরের জমি দখল এবং উচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেন স্থানীয়রা। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের আবেদন জানানো হয়। তা মঞ্জুর করে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই মামলায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ আদালত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের মুখে শোনা যায়, “১০০ বছর ধরে কোনও জমি দখল করে বাস করলে সেই জমির প্রতি দখলদারদের অধিকার জন্মায় না।” মামলা দায়েরের আবেদন মঞ্জুর করার পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকারকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।