এক ঢিলে বহু ‘পাখি’! অপরাধ দমনে রাজ্য পুলিশের সাফল্য তুলে ধরলেন আলাপন
প্রতিদিন | ২৯ জুন ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধ দমনে খুব কম সময়ে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার সেই সাফল্যের কথা সাংবাদিক বৈঠক করে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও এডিজি, আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। তাঁদের বক্তব্য, আন্তঃরাজ্য ডাকাতি চক্র এখানে সক্রিয়, সেই ইঙ্গিত পেয়েই তদন্তকারীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। ফলস্বরূপ একসঙ্গে একাধিক অপরাধের কিনারা করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার নবান্নে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay) ও মনোজ বর্মা যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে। তিনি সবিস্তারে জানান, ডাকাতি রোখার জন্য এবং তার পরে অপরাধীদের ধরার জন্য বৃহস্পতিবার এ রাজ্য চারটি ক্ষেত্রে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ১০ টি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর মধ্যে দুটি ঘটনায় ডাকাতির আগে পুলিশ তার নিজস্ব সূত্র এবং নজরদারির মাধ্যমে ডাকাতির ঠিক আগেই ডাকাতদলকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য দুটি ক্ষেত্রে আগে ডাকাতি হয়েছে, সেই ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের ধরা হয়েছে। এরা বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সদস্যরাও আছে। পুরুলিয়ার (Purulia) রঘুনাথপুর ডাকাতির মামলায় ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, বাজেয়াপ্ত ৬টি অস্ত্র।মুখ্য উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, হাওড়ার ডোমজুড়ের ডাকাতির বিহারের সমস্তিপুরে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর পর মনোজ বর্মা জানান, পুরুলিয়া রঘুনাথপুরের ডাকাতির (Dacoity) মামলাটি ২০২২ সালের। এই মামলা সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বছরের রঘুনাথপুরের আরও তিনটে ডাকাতির ঘটনায় ধৃতরা যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। মোট ছটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরে ঘটনায় তদন্ত করে দুজনকে এ রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুজনকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সহযোগিতায় ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক্ষেত্রে একটি গাড়ি এবং কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাঁকুড়ায় কিছুদিন আগে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকেই পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছিল। হঠাৎ করেই গতকাল সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয় তাদের কাছ থেকে মোটরবাইক এবং আগ্নেয়াস্ত্র (Arms) উদ্ধার হয়েছে। তাদের জেরা করে জানা যায়, তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজ শুরু হয়েছে। হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় বিহারের (Bihar) সমস্তিপুর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি দেখে তাকে সনাক্ত করা হয়েছিল।
পুলিশ কর্তার কথায়, ”গত দুবছরে ১৪০ জন ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা বেশিরভাগই আন্তঃরাজ্য গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে কিছু সাইবার অপরাধীও রয়েছে। আন্ত-রাজ্য গ্যাংয়ের লোকজন কীভাবে এরাজ্যে অপরাধমূলক কাজ করছে, তাদের মোটিভ কী, কোথায় থাকছে, সেগুলো আমরা জানার চেষ্টা করছি। জানতে পেরেছি, তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা হচ্ছে না। এছাড়া সোনার দোকানের মালিকদের যে সংগঠন, তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদেরও কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ব্যাপারে সতর্ক করেছি। স্থানীয় থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে, যার জন্য ডাকাতি হওয়ার আগেই আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হচ্ছি।”