শুক্রবার মনোজ বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন হাওড়ার পুরপ্রশাসকের কাছে। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর এলাকায় কেন ঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না, তা নিয়ে তিনি ভাবিত। এমনকি, তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে এ-ও বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে হয়তো ব্যক্তিগত কিছু আছে ওঁর (সুজয়)।’’ মনোজ অভিযোগ করেছেন, তাঁর বিধানসভা এলাকায় অনেক কাজ আটকে আছে। সেগুলোর জন্য তিনি পুরপ্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন। মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে অনেক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। হাওড়া পুরসভায় তা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুক্রবার বৈঠকে সেই সব ফাইল নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সুজয় চক্রবর্তী বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, শিবপুরে অনেক উন্নয়ন করেছে হাওড়া পুরসভা। কিন্তু মনোজ বলেন, ‘‘আমরা সহযোগিতার জন্য আছি। ওঁরও দায়িত্ব রয়েছে জনপ্রতিনিধি হিসাবে। আমিও বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য মন্ত্রীও হয়েছি। কিন্তু দু’বছর ধরে কাজ হচ্ছে না আমার এলাকায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে হয়তো ব্যক্তিগত কিছু রয়েছে ওঁর। ছোটবেলা থেকে কারও সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ নয়। আমি চাই, সবাই মিলে মানুষের কাজ করি।’’
চলতি সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া পুরসভার নাগরিক পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোজাসুজি হাওড়ার পুরপ্রশাসকের উদ্দেশে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। ওই বৈঠকের পর বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা-সহ একাধিক কাজে পুরসভাকে পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু মনোজ এ নিয়েও পুরপ্রশাসককে কটাক্ষ হেনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তো। এখন বুলেট ট্রেনের মতো কাজ হবে। খুব ফাস্ট। কিন্তু এই বুলেট ট্রেন কত দিন পর্যন্ত চলবে সেটাই দেখার।’’
মনোজ বনাম পুর প্রশাসকের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। আগেও একে অন্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। হাওড়ায় কার্নিভাল নিয়ে দু’পক্ষের গন্ডগোল মেটাতে আসরে নামতে হয়েছিল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। শুক্রবার হাওড়ার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকে সবাইকে সমন্বয় বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেই অরূপ। এ বারেও মনোজ এবং সুজয়ের দ্বন্দ্ব মেটাতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নেন, কি না সেটাও দেখার।