• ফের বন্ধ হয়ে সিকিমগামী 'লাইফ লাইন' এনএইচ ১০, বিকল্প কোন রাস্তার ব্যবস্থা?
    এই সময় | ২৯ জুন ২০২৪
  • শনিবার ফের ধস নামল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। এদিন সকালে কালিম্পঙের লিকুভিরের কাছে ধস নামে। সকালে ধস সরিয়ে একমুখী যান চলাচল শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ফের একবার ধস নামে। এর জেরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় ধস নজরে এসেছে। তৎপরতার সঙ্গে যানচলাচল যাতে সচল করা যায় সেই চেষ্টা করছে প্রশাসন।এদিন জাতীয় সড়কের উপর পাথর, গাছ পড়ায় বিপত্তি বাড়ে। এছাড়াও কিছু জায়গায় রাস্তা ধসে গিয়েছে। যে কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক। ২৯ মাইলের কাছেও ধস নেমেছে বলে সূত্রের খবর। জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফের শিলিগুড়ি-কালিম্পং, শিলিগুড়ি-সিকিম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যদিও খোলা রয়েছে লাভা গরুবাথান রুট। আপাতত সেই রুটেই গাড়িগুলিকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এদিকে ধসের জন্য জাতীয় সড়কে বিশাল যানজট হয়ে রয়েছে।

    এদিকে ধস সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে কাজ শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই ধস সরিয়ে যানবাহন পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    পাশাপাশি নতুন করে লালটংবস্তিতে তিস্তার জল ঢুকছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার সকালে জল অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে স্থানীয়দের একাংশ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। বেশ কয়েকটি গবাদি পশুও জলে ভেসে গিয়েছে বলে জানা যায়। এক সমাজ কল্যাণ সংস্থা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংগঠনের তরফে চালু করা হয়েছে একটি কমিউনিটি কিচেনও।

    উত্তরবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। কবে বৃষ্টিপাত কমবে? সেই দিকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টিপাত থামার সম্ভাবনা কম। ফলে ভোগান্তি বাড়তে পারে সাধারণ মানুষের, এই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    কয়েকদিন আগেও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। লিকুভিরে ধস নামার কারণে শিলিগুড়ি-কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী এই জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছিল। সিকিমের লাইফলাইন হিসেবে এই সড়কটি পরিচিত। ফলে যদি তা বন্ধ হয়ে যায় বহু মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়। আটকে পড়ে একাধিক যানবাহন।

    উল্লেখ্য, বর্ষা প্রবেশের পর থেকেই সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এর জেরে তিস্তার জলস্ফীতি হয়েছিল অনেকটাই। কয়েকদিন আগেই দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমে ধস নেমেছিল। সেই সময়ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল বহু মানুষকে।
  • Link to this news (এই সময়)