বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে দুর্গাপুরের কারখানায় ‘চাঁদার জুলুমবাজি’ নিয়ে সরব হন। পুলিশকে বলেন ব্যবস্থা নিতে। তার পরের দিনই, শুক্রবার শেখ আকবাহার এমন অভিযোগ তোলায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। যদিও আইএনটিটিইউসি নেতাদের একাংশের দাবি, পুরোটাই বিরোধীদের চক্রান্ত।
শেখ আকবাহার জানান, আর সাত মাস কাজ রয়েছে তাঁর। তার পরেই অবসর। প্রায় ৪০ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন। অথচ, শেষ পাঁচ দিন ধরে তিনি বেকার। তাঁর দাবি, তিনি চাঁদা দিতে না চাওয়াতেই এই পরিস্থিতি। আইএনটিটিইউসি-র প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, শেখ মনিরুল ও আরও এক আইএনটিটিইউসি নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। প্রভাত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মনিরুল বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। সবই বিরোধীদের চক্রান্ত।”
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক জানান, দুর্গাপুরের এক আইএনটিটিইউসি নেতা তাঁকে ঘটনাটি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা নেন। অভিজিৎ বলেন, “খবর পাওয়া মাত্র তাঁকে কাজে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে নেতাদের কথা তিনি বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করুন। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”
বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য, “এটা নতুন কিছু নয়। আগেও ডিএসপি নিয়ে আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি সরব হয়েছেন। ওই ঠিকা শ্রমিক কয়েক জন নেতার নামে অভিযোগ করেছেন। আমাদের দাবি, দ্রুত তাঁদের গ্রেফতার করা হোক।” কংগ্রেস নেতা তরুণ রায় বলেন, “তৃণমূল আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত একটা দল। টাকার জন্য কাউকে রেয়াত করে না।”
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলার বলেছেন। বিরোধীদের ভিত্তিহীন অভিযোগের কোনও জবাব হয় না।”