গত এক মাসে লিখুভির এলাকায় একাধিক বার ধস নেমেছে। প্রতি বার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস সরিয়ে ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে এ বার একাধিক ধসের জেরে জাতীয় সড়ক সকাল থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাতীয় সড়ক। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখন ঘুর পথে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করছে তারা।
গত বুধবারই শিলিগুড়ি-গ্যাংটক যাতায়াতের পথে ধস নেমেছিল। এখনও টানা বৃষ্টি চলছে পাহাড় থেকে সমতলে। সে বারও লিখুভিরের কাছেই ধস নেমেছিল। পাহাড় বেয়ে বিশাল পাথর জাতীয় সড়কের উপর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় সড়কের দুই পাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে আবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে।
এর আগে তিস্তার জল বাড়তে শুরু করায় তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংগামী রাস্তা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শিলিগুড়িতে মহানন্দা নদীর জলস্তরও বেড়েছে। জাতীয় সড়ক না-খোলা পর্যন্ত গাড়িগুলিকে লাভা গোরুবাথান রুট হয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে। লাচুং-সহ সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় ধসের কারণে পর্যটকেরা আটকে পড়েছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলার কারণে তাঁদের আকাশপথে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কয়েক দিন পর সড়ক পথে হেঁটে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।