নির্যাতিতার বাবা দীর্ঘ দিনের বিজেপি কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। নির্যাতিতা নিজে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির সদস্যা। অভিযোগ, তিনি মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েক জন মহিলা। এমনকি, তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। এ নিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশি তদন্ত চলছে। যদিও এই পুরো ঘটনায় জুড়েছে রাজনৈতিক রং। তৃণমূল এই ঘটনাকে পারিবারিক বিবাদ বলে দাবি করলেও বিজেপি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছি।
শনিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘বাংলার মা, বাংলার মেয়ে হয়ে এটা আমাদের কাছে লজ্জার। এক জন সংখ্যালঘু এক বোনের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বলার কোনও ভাষা নেই। আমরা আমাদের মহিলা মোর্চা-সহ বেশ কয়েক জন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।’’ তিনি মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের অত্যাচারের প্রতিবাদে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দেন। আজ তাঁর কাছ থেকে কোনও ‘স্টেটমেন্ট’ (বিবৃতি) নেই! আমরা পুলিশকে স্মারকলিপি দেব। কিন্তু পুলিশের কাছে আমাদের কোনও প্রত্যাশা নেই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’
পরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে অগ্নিমিত্রা জানান, পুলিশি গ্রেফতারি নিয়ে তাঁদের কোনও ভরসা নেই। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যাদের ধরেছে, দু’দিনের মধ্যে তারা ছাড়া পেয়ে যাবে। আর ‘পারিবারিক বিবাদ’ বলে যেটা দাবি করা হচ্ছে, সেটা একেবারেই ভুল তত্ত্ব। যেখানেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে, সেখানেই পারিবারিক বিবাদের তত্ত্বকে তুলে ধরা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন অগ্নিমিত্রাদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ওরা সব সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বারস্থ হন। এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। ইতিমধ্যে চার জন গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি তুলছি আমরা। কিন্তু, বিজেপি শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য এই সব করছে। ভোট পরবর্তী হিংসা সৃষ্টি করছে এরা।’’