প্রাচীন স্থানগুলির সংস্কার করে সেগুলি নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চান জগন্নাথ। ওই স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে নদিয়ার পর্যটন শিল্পের উন্নতিই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন। এর আগে জায়গাগুলির সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণ চেয়ে নীতি আয়োগকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। শনিবার কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা নদিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। ড্রোনের মাধ্যমে স্থানগুলি পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। তার পর সংস্কারের বিষয়ে বাজেট বরাদ্দ করা হবে।
পুনর্নির্মাণের জন্য প্রাথমিক ভাবে নদিয়ার যে ছ’টি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি হল নবদ্বীপ গঙ্গাঘাট, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি, দিগনগর রাঘবেশ্বর মন্দির, শান্তিপুর আদিত্য আশ্রম ও শ্যামচাঁদ মন্দির, ফুলিয়ায় রামায়ণের বাংলা অনুবাদকারী কবি কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান এবং শিব নিবাস মন্দির। প্রাথমিক ভাবে ড্রোনের মাধ্যমে এই জায়গাগুলি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তার পর রিপোর্ট তৈরি করবে নীতি আয়োগ। সূত্রের খবর, শনিবার সকালেই পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে কাজ থমকে রয়েছে। বৃষ্টি থামলে ড্রোন-পর্যবেক্ষণ শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ বলেন, ‘‘আমি জেলার এই প্রাচীন স্থানগুলির উন্নতি চাইছি। জায়গাগুলির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। আমি চাই, এগুলি পুনর্নির্মিত হোক এবং পর্যটনের উপযোগী হয়ে উঠুক। দূরদূরান্ত থেকে তা হলে এই জায়গাগুলি দেখতে মানুষ আসবেন। তাতে শুধু জেলার নয়, সারা বাংলার উন্নতি হবে। বাংলার ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। ভুলতে দেওয়া যাবে না।’’ নীতি আয়োগের আধিকারিকেরা আপাতত শুধু পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছেন বলে জানান জগন্নাথ। পরে বাজেট বরাদ্দ করবেন তাঁরা। তা নিয়ে এখনও কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি সাংসদের।
লোকসভা নির্বাচনে এ বার রানাঘাট কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ ৮৬ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন জগন্নাথ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুটমণি অধিকারী। লোকসভা ভোটের আগে দলবদল করে মুকুটমণি রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক হিসাবেও ইস্তফা দেন। সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে শীঘ্রই। তার আগে এলাকায় প্রাচীন স্থান পুনর্নির্মাণে জগন্নাথের তৎপরতা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।