পুলিশ সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় ওই যন্ত্র বসানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রডন স্ট্রিট এবং মহম্মদ আলি পার্ক। রডন স্ট্রিটের দুই প্রান্তে দু'টি যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেখানে বৃষ্টি হলে কত পরিমাণ জল জমেছে, তা পরিমাপ করে ওই যন্ত্র পাঠিয়ে দেবে পুরসভার কন্ট্রোল রুমে। পুরসভার তরফে সেখানে জল নামানোর জন্য এর পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, সৌর প্যানেলের মাধ্যমে ওই যন্ত্র চলবে। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে ওই যন্ত্র পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি জায়গায় বসানো হচ্ছে। সাফল্য এলে অন্য জায়গাতেও তা বসানো হবে বলে তিনি জানান।
ভারী বৃষ্টি হলেই শহরের একাধিক রাস্তায় জল জমে যায়। সেই জল নামতে বেশ কিছুটা সময়ও লাগে। বর্তমানে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা কোথায় কত জল জমেছে, সেই তথ্য লালবাজারে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেন। লালবাজারের তরফে তা আবার পুরসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, এই যন্ত্রের মাধ্যমে পুরসভা সরাসরি জল জমার পরিস্থিতি জানতে পারবে। তাতে জমা জল সরাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে শহরের বাসিন্দাদের ভোগান্তিও কমবে বলেই অনুমান পুলিশকর্মীদের।