• বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব মুক্ত করার আবেদন মমতার, 'বিচারপতিরা সংবিধানের সারভেন্টস', পাল্টা বিচারপতি
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ জুন ২০২৪
  • প্রবীর চক্রবর্তী: দেশের প্রধান বিচারপতির সামনেই বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব মুক্ত করার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বার লাইব্রেরির দ্বিশতবর্ষের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সেখানে একই মঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন,  'আমাকে ক্ষমা করে দেবেন বলছি বলে, বিচার ব্যবস্থা যাতে রাজনীতি মুক্ত হয়। বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে পূজোর মতো। বিচার ব্যবস্থা যাতে রাজনীতি এর দ্বারা প্রভাবিত না হয়।' এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম সহ হাইকোর্টের আরও কয়েকজন বিচারপতি মঞ্চে ছিলেন।  

    মুখ্যমন্ত্রী আরও বলে, চন্দ্রচূড়ের নাম খুব পপুলার। আমাকে আপনাদের পরিবারের সদস্য ভাববেন। আমি আইনজীবী হিসাবে তিন চারটে কেস করেছিলাম। বিচার ব্যবস্থা যদি সহযোগিতা না করে তাহলে সাধারণ মানুষ বিচার পাবে না, সাহায্য পাবে না। গণতন্ত্র, সংবিধান রক্ষা পাবে না বিচার ব্যবস্থা না থাকলে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের জন্য কেন্দ্র সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আমরা এই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালিয়ে যাচ্ছি।

    প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় - সংবিধানের নৈতিকতা কি দরকার। ফেডারেল পরিকাঠামোয় এর উল্লেখ আছে। প্রত্যেক ভারতীয় তার ইচ্ছে অনুযায়ী জীবন যাপন করতে পারবে। ভারত শুধু বড় শহর নয় এখানে অজস্র ছোট শহর আছে। সংবিধান সাধারণ সমাজের সঙ্গে কথপোকথন তৈরি করে। ডাইভারসিটি, টলারেন্স, ইনটিউশনের অনুমোদন দেয় সংবিধান। 

    অনেকে বলেন আদালত মন্দির। তাহলে জাজের ঈশ্বর।  তার চেয়ে বরং নাগরিকদের সার্ভর হিসেবেই জাজেদের দেখা হোক। 

    টেকনলজি.... আধুনিক করার কারণ সাধারণ মানুষের যাতে ভাষার সমস্যা না হয়। টেকনলজি বিভিন্ন জাজমেন্ট প্রতি ভাষায় করা হচ্ছে। এছাড়াও ল রিপোর্টগুলিও ট্রান্সলেট করা হচ্ছে। 

    মামলাকারীরা সবসময় শহরের আদালতে আসতে পারেন না। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেটার সুবিধা দেওয়া গেছে। 

    আদালতে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে প্রথম শুনানি কতদিন লাগছে সেটা মামলাকারী জানার অধিকার আছে। কিছু  মামলার শুনানি হতে বছর ঘুরে যায়। অনেকসময় সমন দেওয়া যায় না। টেকনলজি সেই কাজ সুবিধে করে দিয়েছে। ফাস্টার একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে জামিনের যাবতীয় অর্ডার ইম্পলিমেন্ট করা যায়।  AI পদ্ধতি এসেছে। মেশিন রোবট এর জাজের মতো মানবিক হবে না। কিন্তু রেকর্ড, মামলাকারীর প্রশ্ন ইত্যাদিতে ব্যবহার হচ্ছে AI. 

    সহজ ভাষায় জাজমেন্ট লেখা উচিৎ।  

    বিচারপতির নিজস্ব মানসিকতা থাকবে না এটা হতে পারে না। ব্যক্তিগত মতামত নয় বিচারপতিরা  সংবিধানের সারভেন্টস, সংবিধানের প্রধান( মাস্টার) নই। ভালো লাগুক বা না লাগুক সংবিধানের নৈতিকতা সম্মান করতে হবে মানতে হবে।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)