যেখানে আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকাতে বলা হয়েছে, 'বিজেপির স্লোগান কার্যকর করার লোক ছিল না। নেতা ছিলেন অনেক, কিন্তু সংগঠক ও যোদ্ধা কর্মী ছিলেন কম। পার্টি পুরনো দক্ষ কর্মীদের সম্পূর্ণ অবহেলা করেছে।" একইসঙ্গে আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকায় উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথাও। বলা হয়েছে,"রাজ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রভাব কী হতে পারে এবং তা কীভাবে ব্যর্থ করা যায়, তার কোনও কৌশলের কথা-ই ভাবা হয়নি। এটাও ভাবা হয়নি যে রাজ্যের ক্লাবগুলি কী প্রভাব ফেলতে পারে!" লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার কৌশল নির্ধারণে দলের কর্মীদের 'পার্টি ক্লাস' নেওয়ার কথাও ভাবা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকায়।
এর আগে ভোটের ফলাফলের পর পরই আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকায় 'শূন্য কলসির ভক ভক আওয়াজ' শীর্ষক নিবন্ধে নিশানা করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপিকে। সেবার স্পষ্ট লেখা হয় যে, "২০১৯ সালের পর ৩টে ভোটের দুটিতেই ল্যাজেগোবরে হয়েছে বিজেপি। তৈরি হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে বিকল্প কোনও মুখ। মমতার বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য ও জোরদার মুখ নেই। সেই কারণে আশানুরূপ ফল নেই। পরাজয়ের নেপথ্যে নিজেদের দোষ দেখাই মঙ্গল। এখনও মমতার বিকল্প যথার্থ মুখ নেই বিজেপিতে।" আর এবার একেবারে কারণ বিশ্লেষণ। স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিকার এবারের সংখ্যা যে আরও একবার বঙ্গ বিজেপি অস্বস্তি বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।