• মালদহের বিজেপি নেতার ‘অস্ত্র কারবারে’র পর্দাফাঁস, গ্রেপ্তার আরও ৫
    প্রতিদিন | ২৯ জুন ২০২৪
  • বাবুল হক, মালদহ: বিজেপি নেতার অস্ত্র কারবারের পর্দাফাঁস! মালদহের মানিকচকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান দেবাশিস মণ্ডল-সহ ছজনকে গ্রেপ্তার করল মানিকচক থানার পুলিশ। ধৃতদের আদালতে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ধৃত দেবাশিস মণ্ডল, মালদহের মানিকচক থানার নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। শুধু তাই নয় মানিকচক ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য সারবান মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা অস্ত্রের কারবারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানিকচক থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকচকের হরিপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। আমবাগান থেকে বিজেপি প্রধান-সহ ওই ছজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি সেভেন এমএম পিস্তল, আট রাউন্ড কার্তুজ, দুটি ম্যাগাজিন ও দুটি মোটরবাইক। বিজেপি প্রধান দেবাশিস মণ্ডল অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ওই ছজন আমবাগানে জড়ো হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “আমরা আগেই বলেছি উনি তো বিজেপি প্রধান। মালদহের কাছে বিহার-ঝাড়খণ্ডের বর্ডার। চুরি, ডাকাতি ও সোনার দোকানে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিহার, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা যুক্ত থাকে। ওই এলাকায় বিজেপি সক্রিয়। বিজেপির অনেকেই আছেন যাঁরা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। তারাই বাংলাকে অশান্ত করার জন্য অস্ত্র কারবার করে। প্রধানও তাই করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকার নেবে।” 

    দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “বাংলা জুড়ে পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। চক্রান্ত করে দলীয় নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতে কাজ করতে দিচ্ছে না তৃণমূল। কাটমানি খেতে পারছে না তাই প্রধানকে ফাঁসাতে হবে।  সে কারণে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করাচ্ছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)