দামোদরের পাশ থেকে উদ্ধার অজানা ধাতব বস্তু, হইচই বাঁকুড়ার গ্রামে
এই সময় | ২৯ জুন ২০২৪
দামোদরের চরে বিশালাকার ধাতব বস্তু। যা নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। বস্তুটি উদ্ধারের এরপর সেনা বাহিনীকে খবর দেয় পুলিশ। বস্তুটিকে বিশ্বযুদ্ধের সময়কের কোনও শেল বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হইচই বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী এলাকায়।দামোদরের চরে ধাতব বস্তু দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার মনুই গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা বস্তুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত শেল। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শেলের চারিদিক ঘিরে সেনা বাহিনীকে খবর দিল স্থানীয় সোনামুখী থানার পুলিশ।
বছর কয়েক আগে দামোদরের চরে সিলিন্ডার আকৃতির একটি ধাতব বস্তুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানা এলাকায়। সেই সময় সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হলে সেনাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ধাতব বস্তুটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত শেল হিসাবে চিহ্নিত করে। পরবর্তীকালে সেই বস্তুটিকে নিস্ক্রিয় করা হয়।
এবার সেই একই ধরনের ধাতব বস্তু মিলল সোনামুখী থানার মনুই গ্রাম সংলগ্ন দামোদরের চরে। জানা গিয়েছে, এদিন স্থানীয় মানুষেরা নদীর চরে ওই ধাতব বস্তুটিকে দেখতে পান। ধাতব বস্তু উদ্ধারের ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে অসংখ্য কৌতুহলী মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সোনামুখী থানার পুলিধ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বস্তুটিকে ঘিরে খবর দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দামোদরের ধারে জেসিপি দিয়ে বালি কাটা হচ্ছিল। সেই সময় একটি বড় গর্তের মধ্যে এই ধাতব বস্তুটিকে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় দুই যুবক প্রথমে ওই বস্তুটিকে খেয়াল করেন। এরপরেই এলাকার বাকি বাসিন্দাদের খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। যুদ্ধে ব্যবহৃত কোনও বস্তু ভেবে নিয়েই সেনা বাহিনীকে খবর দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। সেই বস্তুটিকে উদ্ধারের কাজ চালানো হয়। তবে, সেই বস্তুটি আসলে কী সে ব্যাপারে সেনা বা পুলিশের তরফে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। তবে, গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বস্তুটিকে দেখার জন্য আশেপাশের এলাকার লোকজন ছুতে আসে। যদিও, স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই বস্তুটির আশেপাশে যেতে দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে।