সপ্তাহান্তে তপ্ত শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। স্থায়ী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হকারদের বিবাদের জেরে শনিবার কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল ধর্মতলার একাংশ। পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য সেখানে উপস্থিত রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।ঠিক কী অভিযোগ?
স্থায়ী ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, তাঁদের উপর চড়াও হন কয়েকজন হকার। আর সেই কারণেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন তাঁরা। শনিবার নিউ মার্কেট চত্বর কার্যত তপ্ত হয়ে ওঠে। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের উপর কয়েকজন হকার চড়াও হয়েছেন। এই ঘটনায় স্থায়ী ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অশোক কুমার গুপ্ত বলেন, 'আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর আমরা থানায় জানাই ঘটনার বিষয়ে। হকাররা চড়াও হন আমাদের উপর।'
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তপ্ত হয় পরিস্থিতি। সেখানে মোতায়েন করা হয় ডিসি এবং পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের। তাঁরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, স্থায়ী ব্যবসায়ীরা হামলাকারীদের গ্রেফতারির দাবি করছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় নিউ মার্কেটে স্থায়ী পার্কিংয়ে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে। হকারদের একাংশ মার্কেটের সামনে পার্কিং সরাতে বলেন বলে অভিযোগ। আর হকারদের সেই দাবি মানতে না চাইলে এক স্থায়ী ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হন হকারদের একাংশ, অভিযোগ এমনটাই।
শনি-রবি শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় প্রচুর মানুষ ভিড় জমান কেনাকাটা করার জন্য। কম দামে সেখানে হরেক রকম জিনিস পাওয়া যায়। প্রচুর স্থায়ী ব্যবসায়ী যেমন এক্ষেত্রে রয়েছে তেমনই কিছু হকাররাও রাস্তার উপর পসরা সাজিয়ে বসেন। শনিবার দফায় দফায় তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ফলে সাধারণ মানুষকেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে গ্র্যান্ডের সামনের রাস্তায় যানচলাচলের উপর প্রভাব পড়ে। একাধিক গাড়ি দীর্ঘ সময় আটকে ছিল।
এদিন ব্যবসায়ীদের একাংশ এসএন ব্যানার্জী রোড অবরোধ করেন। ফলে যানচলাচল ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত হকারদের গ্রেফতার করতে হবে। যদিও হকার নেতা সইফ খান বলেন, 'আমরা কোনও অশান্তি চাই না। শুধু প্রতিবাদ করা হয়েছে আমাদের তরফে।' পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য অবরোধ উঠে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে।