• মণিপুরের ছায়া! বিবস্ত্র করে মহিলাকে হাঁটানোর অভিযোগ কোচবিহারে,অবরোধে অগ্নিমিত্রা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ জুন ২০২৪
  • মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙা এলাকার এক মুসলিম মহিলার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবারের ঘটনা। এদিকে তিনি বিজেপির মহিলা মোর্চার সক্রিয় সদস্য। তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা তাকে বেধড়ক মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। এমনকী তার শাড়ি খুলে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন মহলকে। এমনকী সেই অবস্থায় তাকে অনেকটা টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তিনি বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। 

     এদিকে সেই ঘটনায় এবার তদন্ত কমিটি গড়েছে রাজ্য বিজেপি। আর সেই কমিটির সদস্যরাই শনিবার কোচবিহারে যান। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। 

    সূত্রের খবর, শনিবার এই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা সহ বিজেপির নেতা নেত্রীরা। জেলা পুলিশ সুপাররে সঙ্গেও দেখা করার কর্মসূচি ছিল তাঁদের। কিন্তু আচমকাই অগ্নিমিত্রা সহ অন্যান্যরা পুলিশ লাইন চৌপথিতে বসে পড়েন। কার্যত দফায় দফায় অবরোধ চলতে থাকে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। এরপর পুলিশ লাইনে বিজেপির প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। 

    অগ্নিমিত্রা বলেন, বিবস্ত্র করে তাঁকে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়েছে। তার একমাত্র দোষ ছিল যে তিনি বিজেপি করেন। আজ তারই প্রতিবাদে এই টিম এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুধু বলছেন বাংলা তার নিজের মেয়েকে চায়। কিন্তু আপনার নিরাপত্তা রয়েছে। আর কারোর নিরাপত্তা নেই। রাজ্যে  কারোর সুরক্ষা নেই। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। কিন্তু রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আমরা চাই সিবিআই তদন্ত হোক। মণিপুরে যখন এই ঘটনা হয়েছিল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো টিম পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর এখানে আপনার টিম কোথায়? আপনাদের টিম কোচবিহারে কোথায়? বাংলার মা বোনেদের উলঙ্গ করে ঘোরানো হবে আর আপনি কোনও টিম এখানে পাঠাতে পারেন না। 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি করেন। অন্যদিকে নির্যাতিতাও বিজেপির নানা কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। অভিযোগ তিনি যখন ছাগল চড়াতে যাচ্ছিলেন তখন তাকে গালিগালাজ করা হয়েছিল ও তাকে মারধর করা হয়েছিল। তারপরই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তবে মাথাভাঙার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটা পুরো পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্য়েই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)