এসটিএফের জালে আরও এক যুবক, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার
এই সময় | ৩০ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আগেই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে STF। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এদের সঙ্গে যুক্ত আরও এক যুবককে গ্রেফতার করলেন এসটিএফ আধিকারিকরা। চেন্নাই থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। শনিবার ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয়।কাঁকসার পানাগড় ও নদিয়া জেলার নবদ্বীপ থানার মায়াপুর মোল্লাপাড়া থেকে জঙ্গি যোগে গ্রেফতারের পর চেন্নাই থেকে এদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরেকজনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক মঙ্গলকোটের ভালুক গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতের নাম শেখ আনোয়ার। তবে কর্মসূত্রে এই যুবক চেন্নাইতে থাকত বলে জানা গিয়েছে। বেঙ্গল এসটিএফ-এর একটি দল খবর পেয়ে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করে ওই যুবককে। তাকে আনা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালত এই জঙ্গিকে ১৪ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র মারফত জানা যায়, ৪ বছর ধরে এই নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এদের। শেখ আনোয়ার কর্মসূত্রে চেন্নাই-এ একটি লন্ড্রিতে কাজ করতো। কয়েকদিন আগেই কাঁকসার পানাগড় ও নবদ্বীপ থেকে যে দুজন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছিল এস টি এফ তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পর শেখ আনোয়ারের খোঁজ মেলে। আনোয়ারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আরো বাড়িয়ে নিয়ে যেতে চায় এসটিএফ । এই নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে শেখ আনোয়ার যুক্ত হয়ে কি কাজ করত সেটাও জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগেই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কাঁকসা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মীরে পাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা ৷ সেই বাড়ি থেকেই প্রথমে আটক করা হয়েছিল হাবিবুল্লাকে ৷ সেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় STF আধিকারিকরা। তল্লাশি চলাকালীন সেই বাড়ি থেকে জঙ্গি সংক্রান্ত একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর৷ ল্যাপটপ, ফোনউদ্ধার করা হয়৷ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে কাঁকসা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরেই লাগাতার হাবিবুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই নদিয়া জেলার নবদ্বীপ থানার মায়াপুর মোল্লাপাড়ায় তার আরও এক সঙ্গীর খোঁজ পায় STF। সেই যুবককে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত যুবকের নাম হারেজ শেখ। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এসটিএফ আধিকারিকরা।