উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ, শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। তাঁরাই ইডির উপর চড়াও হন। ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল। ইডির উপর হামলার এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দু’টি এফআইআর হয়েছিল। একটি এফআইআর হয় ইডির অভিযোগের ভিত্তি। অন্য এফআইআরটি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রুজু করে পুলিশ।
ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া দু’টি এফআইআরেই নাম ছিল আলমগিরের। শনিবার বসিরহাট আদালতে আলমগিরের হয়ে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী রাজা ভৌমিক। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর একটি মামলায় আলমগিরকে জামিন দেন বিচারক। তবে ইডির দায়ের করা মামলায় জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। ফলে জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। ওই একই মামলায় আলমগিরের সঙ্গে মাফুজার মোল্লা নামের এক অভিযুক্তেরও জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
ইডির উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন আলমগির। তবে গত ১৬ মার্চ সিবিআইয়ের দফতর নিজ়াম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আলমগিরের সঙ্গে সিবিআই দফতরে আরও দু’জনকে তলব করা হয়েছিল। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মাফুজার।