তেহট্টের ওই পঞ্চায়েতে সিপিএম এবং বিজেপি মিলে বোর্ড গঠন করেছে। প্রধান বিজেপির। পঞ্চায়েতে সাধারণ সভায় প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা এবং স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হন তৃণমূল ও সিপিএমের সদস্যরা। প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ চলাকালীন সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রধান। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ।
নাটনা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৬টি আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পায় ন’টি আসন। বিজেপি জয়ী হয় ১২টিতে, সিপিএম পায় পাঁচটি আসন। শেষে সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান হন বিজেপির সরস্বতী বিশ্বাস। শনিবার প্রধানের বিরুদ্ধে তাঁর দলের পাশাপাশি তৃণমূল ও সিপিএমের সদস্যরাও বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে অনিয়ম হয়েছে। কাজ নিয়ে যা আলোচনা হয়েছিল, তা মানা হয়নি। বিভিন্ন রকমের কাজ কোনও আলোচনা ছাড়াই করছেন প্রধান। পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, প্রধানের জন্যই নিজের এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছেন না তাঁরা।
লোকসভা নির্বাচনের কারণে প্রায় তিন মাস পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা হয়নি। শুক্রবার সভা হয়েছিল। উপস্থিত হন সদস্যেরা। সেখানে প্রধানের বিরুদ্ধে কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তখন প্রধান আলোচনা শেষ না করেই সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। তার পরেই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে পঞ্চায়েত সদস্যেরা তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ নিয়ে তৃণমূল সদস্য বলরাম শিকদার বলেন, ‘‘সব কিছুতেই অনিয়ম করেছেন প্রধান। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন। সাধারণ সভা থেকে বেরিয়ে গিয়ে সবাইকে অপমান করেছেন। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সকলে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’’
অন্য দিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান বলেন, ‘‘শরীর খারাপ থাকায় সভা থেকে চলে আসি। তৃণমূলের প্ররোচনায় পুরো ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের সদস্যদেরও প্রলোভন দেখিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’