কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় রাজ্যপালের। এরপরই রাজভাবনের তরফে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। রাজ্যপালের তরফে বেশকিছু বিষয় তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে মূল বিষয় হল বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই বিপজ্জনক অবস্থার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। রাজ্যের অর্থিক অবস্থা বর্তমানে কেমন তা নিয়ে যেন একটি বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে যেন নির্দেশ দেওয়া হয় যে তিনি একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
রাজভবনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে সমালোচনার আকারে রাজ্যের বিরুদ্ধে বহু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের যে রেভিনিউ ডেফিসিট তা অন্য রাজ্যের গড়ের থেকে ৯ গুন বেশি। পশ্চিমবঙ্গের যে খরচ তা সাধারণ মানুষের উপরে চাপের সৃষ্টি করছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাত্ করাই এখন বর্তমান সরকারের মূল চরিত্র হয়ে উঠেছে। ফল সবে মিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকে রাজ্যকে কড়া নিশানা করা হয়েছে।
রাজ্যপালের সঙ্গে নির্মলা সীতারমনের বৈঠক নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি একদম ঠিক আছে। পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিকভাবে বঞ্চনা করছেন ওই মহিলা যাঁকে রাজ্যপাল ফুল দিতে গিয়েছেন। ওঁর ওখানে গিয়ে বলা উচিত বাংলার বকেয়াগুলে মিটিয়ে দিন। তার বদলে সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলে গিয়েছেন। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ইস্যু কভারআপ করার জন্য। যাঁর হাতে ফুল দিচ্ছেন তাঁর স্বামী পর্যন্ত বলেছেন দেশের অর্থনীতি কতটা খারাপ জায়গায় রয়েছে। কী কী কেলেঙ্কারি চলছে। সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলার প্রতি রাজ্যপাল তাঁর দায়িত্ব পালন না করে কিছু কিছু বিতর্কিত বিষয় থেকে নজর ঘোরানোর জন্য গিয়েছেন নাটক করতে।