• বাবাকে খুন করে দেহ পোঁতার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, পরে আত্মহত্যার চেষ্টা
    এই সময় | ৩০ জুন ২০২৪
  • বাবাকে খুন করে দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে ৷ পরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। একইসঙ্গে নিজের অপরাধও কবুল করল সে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার জালাবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা গ্রামে ৷ নিহতের নাম কাশিনাথ হালদার (৫৫)। ঘটনার পাঁচদিন পর মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হল দেহ ৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।বাবাকে আগেও মারধরের অভিযোগজানা গিয়েছে, কুলতলি থানা এলাকার জালাবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ছিলেন কাশিনাথ হালদার৷ পেশাগতভাবে চাষের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর দুই ছেলে৷ বড় ছেলে ভিনরাজ্যে কর্মরত৷ ছোট ছেলে পরিমল হালদার বাড়িতেই থাকে। স্থানীয় সূত্র খবর, পরিমল তেমন কোনও কাজকর্ম করত না৷ উলটে প্রায়শই রোজই নেশা করে বাড়ি ফিরত। যার জেরে ছেলেকে প্রায়শই বকাবকি করতেন কাশিনাথ৷ আর বাবা বকাবকি করলেই পালটা ছেলে তাঁকে মারধর করত বলে অভিযোগ। এমনকী কয়েকদিন আগে মারধর করে একবার বাবার মাথাও ফাটিয়ে দেয় সে।

    খুন করে পুঁতে দেওয়া হল দেহএরপর দিন পাঁচেক আগে পরিমল নেশা করে বাড়ি ফিরলে ছেলেকে ফের বকাবকি করেন কাশিনাথ। অভিযোগ, এরপরেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে খুন করে সে ৷ তারপরে এক প্রতিবেশীর বাগান বাড়িতে মাটিতে দেহ পুঁতে দেয়৷ এদিকে এলাকাবাসী কাশিনাথের খোঁজ না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে। তবে সে কিছুই জানে না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এরপর শনিবার রাতে বিষ খায় পরিমল। তারপরেই প্রকাশ্যে বিষয়টি। বিষ খাওয়ার পর নিজের অপরাধের কথা কবুল করে সে। নিজের এক পরিচিতর কাছে বাবাকে খুন করার কথা স্বীকার করে পরিমল। শুধু তাই নয় কোথায় দেহটি পুঁতে রাখা হয়েছে, তাও জানিয়ে দেয় সে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

    রাতেই উদ্ধার দেহঅসুস্থ অবস্থায় পরিমলকে ভর্তি করা হয়েছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রাতেই সেই জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি রবিবার মনাতদন্তে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস৷ দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
  • Link to this news (এই সময়)