অর্ক দে, বর্ধমান: ঘরের ভিতর থেকে গৃহবধূর নলিকাটা দেহ উদ্ধার। শনিবার গভীর রাতের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানের মেমারি এলাকায়। কে বা কারা, কী উদ্দেশে খুন করেছে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেই খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রতিমা চক্রবর্তী (৩৮)। মেমারির চকদিঘির বাসিন্দা। মেমারির সুলতানপুরের বাসিন্দা হৃদয় চক্রবর্তী তাঁর স্বামী। রাঁধুনির কাজ করেন। শনিবার সকালে সেই কাজে তিনি দিঘা গিয়েছেন বলে খবর। বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। কাছেই বোন বুলবুল মজুমদারের দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসেন। এর পর রাত ১০টা নাগাদ বোন তাঁর বাড়িতে আসেন। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা খোলেননি প্রতিমাদেবী। পাড়ার লোকজনকে ডেকে দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটি ঘরে পড়ে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বুলবুল জানান, “জামাইবাবু সকালে রান্নার কাজে দিঘা গিয়েছেন। দিদি একাই বাড়িতে ছিল। ওর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না।”
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেই খুন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।