সাম্প্রতিককালে বাংলায় ঘটে যাওয়া একাধিক অপরাধের ঘটনায় ঘুরেফিরে নাম উঠে এসেছে বিহারের জেলবন্দি কুখ্যাত 'গ্যাংস্টার' সুবোধ সিংয়ের। আর এবার ২০২২ সালের রানিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা ও ডাকাতি করার চেষ্টার মামলায় আসানসোল আদালতে নিয়ে আসা হল এই গ্যাংস্টারকে। পুলিশ সূত্রের খবর, আসানসোলের রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতি ও গুলিকাণ্ডেও যোগ রয়েছে তার। বিহারের বেউর জেল থেকে আসানসোলের আদালতে নিয়ে আসা হয় সুবোধ সিংকে। রবিবার সকালে বিহারের ওই জেল থেকে তাকে আসানসোলে নিয়ে আসে সিআইডি।গত ৯ জুন আসানসোলের রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতি এবং ব্যাপক গুলি চলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো গুলির লড়াই হয় দৃষ্কৃতীদের। এরপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও ঝাড়খন্ড পুলিশ যৌথ উদ্যোগে অভিযানে নামে। অভিযানে নেমে প্রথমে বিহার থেকে সুরজ সিং নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে জেরা করে সোনু সিং নামে আরও একজনকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর উভয়কে জেরা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আন্ডালের দক্ষিণ খণ্ড থেকে শশীকান্ত মালি নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় নগেন্দ্র যাদব নামে আরও একজনকে। তাদের জেরা করে সুদূর মেঘালয় থেকে বিবেক চৌধুরী নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক্ষেত্রে পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনাতেও জেলবন্দি সুবোধ সিং-এর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অধিকারিকরা।
বিহারের জেল থেকে নিয়ে এসে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছে সুবোধ সিংকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুবোধ সিং-এর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টাকা চেয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি ফোন করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়ও রয়েছে আরও বেশকিছু অসামাজিক কাজের অভিযোগ। রানিগঞ্জের ঘটনায় মোট সাত জনের যুক্ত থাকার খবর থাকলেও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন দেখার সুবোধ সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কী কী তথ্য উঠে আসে। সেক্ষেত্রে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি ২ জনেরও কোনও হদিশ পাওয়া যায় কি না, সেই দিকটিতেও নজর দিতে পারেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, অতীতে মণীশ শুক্লা খুনেও এই গ্যাংস্টার হাত রয়েছে বলে খবর। কয়েকদিন আগে বেলঘরিয়ায় এক ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করেও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাতেও এরই নাম উঠে আসে। জেলে বসেই সুবোধ নিজের অপরাধের নেটওয়ার্ক চালায় বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে এখন দেখার সুবোধকে জেরা করে কোন কোন রহস্যের জট ছাড়াতে পারেন তদন্তকারীরা।