• শিক্ষকদের বেতনে বৈষম্যে মুচলেকা আদায় কলেজের
    এই সময় | ৩০ জুন ২০২৪
  • রাজ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের হাজারের বেশি বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ নিয়ে কয়েক বছর ধরেই নানা টানাপড়েন চলছে। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিএড কলেজে পড়ুয়া অনুপাতে পর্যাপ্ত শিক্ষক সংখ্যা নিশ্চিত করতে এবং বেতন-বৈষম্য রোধে ওই সব কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ‘মুচলেকা’ নেওয়া শুরু করল বিআর আম্বেদকর ইউনিভার্সিটি (বিএড বিশ্ববিদ্যালয়)।বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও টিচার ইনচার্জরা লিখিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। এবং তা অনলাইনে অর্থাৎ, ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের (ডিবিটি) মাধ্যমে। রাজ্যের ৬০১টি বেসরকারি বিএড কলেজে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার নিরিখে ছ’হাজার শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু বহু কলেজেই তা ছিল না বলেই অভিযোগ (সম্প্রতি কিছু নিয়োগ হয়েছে)। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মাসে ন্যূনতম ৫৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়।

    কিন্তু সিংহভাগ কলেজই মাস্টার্স ডিগ্রিধারী, বিএড/এমএড এবং নেট অথবা সেট পাশ ওই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাসে মাসে মোটে ২১,৬০০ টাকা বেতন দিয়েছে। গত বছর বঞ্চিত শিক্ষকদের একাংশ এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা দপ্তরেও অভিযোগ করেছিলেন। এই অবস্থা সামাল দিতে কমিটি গঠন করা হয়। তাতে বেসরকারি কলেজের মালিকদের একাংশও ছিলেন। তার পরেই এ বছর মুচলেকা আদায়ের ব্যবস্থা।

    রাজ্যের প্রফেশনাল কলেজগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরামের সভাপতি তপন বেরা বলেন, ‘শিক্ষকদের অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল, কলেজ প্রাপ্য বেতন দেয় না। সময়েও বেতন মেলে না। মাসের বদলে অনেক কলেজই নাকি চার মাসের বেতন একসঙ্গে দেয়।’ তাঁর সংযোজন, ‘প্রাইভেট কলেজকে বেতনের বিষয়ে জোর করা যায় না। তাই আমরা বলেছি, মাইনে যা দেওয়ার নিয়মিত দেবেন।’

    বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাধারণ ডিগ্রি কলেজের মতোই বেতন পাওয়ার কথা বেসরকারি বিএড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও। যে ভাবে বেসরকারি বিএড কলেজের তরফে ডিবিটি-র মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নিয়মিত বেতন দেওয়ার লিখিত আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে এ দফায়, সেটা ইতিবাচক।’

    যদিও এত কিছুর পরেও ন্যূনতম এবং নিয়মিত বেতন পাওয়া নিয়ে সংশয়ে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে। তাঁদের কথায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিএড পড়তে বেসরকারি কলেজে সরকারি নিয়মে দু’বছরে ৭৫ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকা ফি দেওয়ার কথা পড়ুয়াদের। কিন্তু রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ বহু দিন। ফলে বিএড পড়ার চাহিদা কমেছে।

    ছাত্রছাত্রীরা নাকি দু’বছরে ৭০-৮০ হাজার টাকার বেশি দেন না। প্রিন্সিপাল, গ্রন্থাগারিক ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ছাড়াও পাঁচ জন কর্মীর বেতনও দিতে হয় কলেজকে। তাই কম বেতনেই শিক্ষকতা করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।

    পড়ুয়াপিছু শিক্ষক

    আসন শিক্ষক

    ৫০ ৮ জন

    ১০০ ১৬ জন

    Iসঙ্গে একজন করে অধ্যক্ষ I
  • Link to this news (এই সময়)