• ৮ ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্য পুলিশের, উদ্ধার মগড়ার নিখোঁজ ৫ ছাত্রী
    এই সময় | ৩০ জুন ২০২৪
  • ৫ ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় বড়সড় সাফল্য হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় পাঁচ ছাত্রী। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলির মগড়া থানা এলাকায়। খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে মগড়া থানার পুলিশ। অবশেষে অবশ্য ৫ ছাত্রীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মগড়া প্রভাবতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর পাঁচ ছাত্রী শনিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল ছুটির পর বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এই বিষয়ে এক ছাত্রীর পিসি সোমা সাহা বলেন, 'আমার ভাইঝির সঙ্গে পড়ে তার চার বান্ধবী স্কুলে যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে আসে। আগে কোনওদিন আসেনি। এক বান্ধবীর সেইকেলের চাকা পাঙচার হয়ে গিয়েছে বলে সেটি রেখে যায়, বলে পরে নিয়ে যাবে। ওরা পাঁচজনে হেঁটে স্কুলে চলে যায়। ভাইঝি বলে যায় স্কুলে অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং আছে। কিন্তু আমার মা স্কুলে গিয়ে তাদের দেখা পায়নি। সন্ধে পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।'

    বিষয়টি মগড়া থানায় জানান হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে মগড়া থানার পুলিশ। টিম তৈরি করে তদন্তে নামেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর বর্ধমানের বেলখাস থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ৫ ছাত্রীকে। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে।

    এই বিষয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র বলেন, 'ঘটনায় এফআইআর পেতেই তদন্তে টিম গঠন করা হয়। তারপর আট ঘন্টার মধ্যেই বর্ধমানের বেলখাস থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীদের।' জানা গিয়েছে, বেলখাসের বাসিন্দা কার্তিক মাঝি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই ৫ ছাত্রীকে। কার্তিকের সঙ্গে সুকুমার ধারা ও আরও ১ জন জড়িত বলে জানতে পারে পুলিশ। কার্তিক ও সুকুমার ছাড়া তৃতীয় জন নাবালক। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু'জনের বাড়ি মগড়ায়, আর একজনের বাড়ি বর্ধমানের বেলখাসে। কী ভাবে ও কেন ওই ছাত্রীরা কার্তিক মাঝির বাড়ি গিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে ধৃতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)