• ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে ক্ষোভ
    আনন্দবাজার | ৩০ জুন ২০২৪
  • ভাঙন রোধের কাজে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কাজও বন্ধ করে দিয়েছেন। শনিবার শমসেরগঞ্জের পশ্চিম দেবীদাসপুরের ঘটনা।

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এমনিতেই বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ হচ্ছে। তার উপর তা নিয়েও দুর্নীতি। তাঁদের দাবি, বস্তা পুরো ভর্তি করে বালি এনে গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে ফেলার কথা। কিন্তু নৌকোয় যে বস্তাগুলি আনা হয়েছে, তা অর্ধেক খালি। শুধু তাই নয়, বালির বদলে বস্তায় মাটি ভরা থাকছে বলেও তাঁদের দাবি। এ নিয়েই এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন পশ্চিমদেবীদাসপুরের বাসিন্দারা।

    এ দিন বিকেলে গ্রামবাসীদের দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। তাঁরা আটকে দেন বালির বস্তা বোঝাই চারটি নৌকো। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ওই কাজ করতে হবে। এমনকি, বস্তায় কতটা বালি ভরা হয়েছে, তা মাপার জন্য যন্ত্রও নিয়ে আসে গ্রামবাসীরা। বস্তা খুলে বালি ঢালা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দেখা যায় তাতে বালি নয়, রয়েছে মাটি। এরপরই গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরে শ্রমিকদের। গ্রামবাসীদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পেরে পালিয়ে যান কর্মরত ঠিকাদার।

    ২০২০ সাল থেকে গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙনে বিধ্বস্ত শমসেরগঞ্জের অন্তত ১২টি গ্রাম এবং ধুলিয়ানের নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডগুলি। ভাঙ্গন রোধে কাজ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙ্গন আটকানোর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে গিয়েছিলেন বছরখানেক আগে। তারপর পাড়ে বালির বস্তা ফেলা শুরু হয়। শমসেরগঞ্জের চাচন্ড, লোহারপুর, শিকদারপুর, দেবীদাসপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ। কিন্তু প্রায় সব জায়গাতেই ভাঙন প্রতিরোধের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিটি বস্তায় ৩৫ কেজির বেশি বালি থাকার কথা। কিন্তু থাকছে ১৫ থেকে ১৬ কেজি বালি।

    যে এলাকায় এ দিন বিক্ষোভ হয় সেখানকারই বাসিন্দা জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। নয়াদিল্লি থেকে তিনি ফোনে বলেন, “পাড়ে পরিমাণ মতো বালি বস্তায় বোঝাই করে ফেলতেই হবে। এটা দেখার জন্য প্রশাসনের কর্তাদের কাজের জায়গায় উপস্থিত থাকার কথা। আমি এ বিষয়ে কথা বলব সংশ্লিষ্ট দফতরের।”

  • Link to this news (আনন্দবাজার)