কাঁকিনাড়ার নারায়ণপুর অঞ্চলের বাসিন্দা রূপা রায়। শনিবার রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্বামী রাজা রায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আদালতে বিচারাধীন। দু’জনে একসঙ্গে থাকেনও না। মহিলা থাকেন তাঁর বাপের বাড়িতে। অভিযোগ, প্রায়ই রাতে মহিলা বাড়ি ফেরার সময়ে তাঁর পথ আটকাতেন অভিযুক্ত। নানা ভাবে স্ত্রীকে হেনস্থাও করতেন। শনিবার অ্যাসিড নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রীকে মারার জন্য।
অ্যাসিড ছোড়ার পর এলাকার লোকজন অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আক্রান্ত মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। মহিলার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আক্রান্ত মহিলার ভ্রাতৃবধূ বলেন, ‘‘ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা ছিল। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। ও জানত, ওই রাস্তা দিয়েই স্ত্রী বাড়ি ফেরে। প্রায়ই ফেরার পথে তার পথ আটকে ঝামেলা করত। মানসিক অত্যাচার করত। শনিবারও রাস্তায় দাঁড় করিয়ে কথা বলছিল। হঠাৎ মুখে অ্যাসিড ছুড়ে দেয়। আমার ননদ হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলায় হাতে আর গলায় অ্যাসিড লেগেছে, মুখটা কিছুটা হলেও বেঁচেছে। রাস্তার লোকজন ওকে ধরে ফেলে।’’
ওই মহিলার আর এক আত্মীয় প্রশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘ওদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। তার মধ্যে মহিলার স্বামী ওঁর উপর অ্যাসিড ছুড়েছেন। মহিলা এক জায়গায় কাজ করেন। সেখান থেকে ফেরার পথে হামলা করা হয়। কেন এটা করলেন, কী চাইছেন, আমরা বুঝতে পারছি না।’’