আজকাল ওয়েবডেস্ক : রাতের অন্ধকারে শহরের আবর্জনা ফেলে বুঝিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ শহরের মানুষের অত্যন্ত প্রিয় নেতাজী সুভাষ দ্বীপ। শনিবার রাতে জঙ্গিপুর পুরসভার আবর্জনা ভর্তি গাড়ি সুভাষ দ্বীপে আবর্জনা ফেলতে গেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তিনটি আবর্জনা ভর্তি গাড়ি আটকে তারা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আবর্জনা ভর্তি গাড়িগুলো সেখান থেকে ছাড়া পায়। সুভাষ দ্বীপে আবর্জনা ফেলার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বেশ কয়েক বছর আগে জঙ্গিপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাছে ভাগীরথী নদী বক্ষে একটি ছোট চর জেগে ওঠে। পরে জঙ্গিপুর পুরসভা বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে সেই চরটিকে সাজিয়ে তুলে সেখানে একটি পার্ক গড়ে তোলেন।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধে জঙ্গিপুরের প্রচুর মানুষ সেই পার্কে যেমন হাঁটতে যান তেমনি অনেক মানুষের কাছে এটি অবসর সময় কাটানোর একটি জায়গা। শীতের মরশুমে অনেকেই পিকনিক করতে এই পার্কে আসেন।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎই জঙ্গিপুর পুরসভার আবর্জনা ভর্তি গাড়িগুলো শহরের বালিঘাটা-গুজুরপুরের ভাগাড়ে ময়লা না ফেলে রাতের অন্ধকারে পুরসভার নেতাজী সুভাষ দ্বীপে এসে আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে। শনিবার রাতে একই কাজ হতে দেখে পথে নেমে আসেন এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ- পুরসভা রাতের অন্ধকারে আবর্জনা ফেলে পার্কটি বন্ধ করে দিতে চাইছে এবং ভবিষ্যতে সেখানে বড় কোনও নির্মাণ কাজ করা হবে বলে তাদের অনুমান।
জঙ্গিপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর সুবীর রায় বলেন," শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমি কয়েকদিন পুরসভাতে যেতে পারছি না। আমি শুনেছি সুভাষ দ্বীপের কাছে নাকি পুরসভার তরফ থেকে একটি বড় গর্ত করা হয়েছে এবং সেখানেই আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। তবে এই কাজ করার আগে আমার কাছ থেকে কোনও রকম অনুমতি নেওয়া হয়নি।"
বিজেপির জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন," প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ওই পার্কে যায়। পুরসভা কয়েক কোটি টাকা খরচ করে এটি নির্মাণ করেছিল। তৃণমূলের নেতারা ভাগাড়ের জায়গাও বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেই কারণে এখন আর ভাগাড়ে ময়লা ফেলার জায়গা নেই। তাই তাদেরকে নতুন জায়গা খুঁজতে হচ্ছে।"
জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামকে বলেন ,"আমাকে না জানিয়ে পুরসভার কিছু কর্মী পার্কের একটি অংশে-যেখানে লোকজন যায়না - কিছু লিচু গাছের পাতা ফেলতে গিয়েছিল। আমি ঘটনাটি জানার পর তাদেরকে ফেরত চলে আসতে বলি। ওই পার্কে কোনও আবর্জনা ফেলে হবে না। "