সংবাদদাতা, বারুইপুর: ছেলে প্রতিনিয়ত নেশা করে। সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করেছিল বাবা। রাগের মাথায় বাবাকেই খুন করে ফেলল ছেলে। শুধুই খুন নয়, বাবার দেহ লোপাটের জন্য মাটিতে পুঁতে রেখেছিল ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা গ্রামে। ওই যুবক সেখানকার বাসিন্দা। নাম পরিমল হালদার। সে প্রতিনিয়ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকত। সেই বিষয়ে বাবার সঙ্গে প্রায় রোজই ঝগড়া ঝামেলা হতো। গত চার-পাঁচ দিন আগে তার বাবা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। সেই বিষয়ে পরিমলকে প্রতিবেশীরা জিজ্ঞাসা করলে, উত্তরে জানি না বলতো সে। এর মাঝেই গতকাল, শনিবার দুপুরে পরিমল কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। কীটনাশক খাওয়ার জন্য অসুস্থ হয়ে পরায় প্রতিবেশীরা তাকে জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। তখনই তাকে প্রতিবেশীরা আত্মহত্যা করার কারণ জানতে চায়। তখনই পরিমল তাদেরকে জানায় প্রতিনিয়ত নেশা করার প্রতিবাদ করায় বাবাকে সে খুন করে মৃতদেহ এলাকায় একটি বাগানের মাটিতে পুঁতে দিয়েছে। তাই এতদিন ধরে তার বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা ঘটনাটি শুনে প্রতিবেশীরা কুলতলি থানায় খবর দেয়। গতকাল, শনিবার রাতে কুলতলি থানার পুলিস ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে পরিমলের বাবা কাশীনাথ হালদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি আজ, রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কুলতলি থানার পুলিস। এদিকে পরিমলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।