তথাগত চক্রবর্তী: বাড়িতে অশান্তি ছিল। তা বলে ছেলে করল এরকম কাজ! তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন পাড়ার মানুষজন। কুলতলির জালাবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা গ্রামের কাশীনাথ হালদারকে(৫৫) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না পাঁচ দিন ধরে। এনিয়ে তোলপাড় ছিল পাড়া। শেষপর্যন্ত জানা গেল বাবার নিখোঁজ হওয়ার পেছনে মূল মাথা তার ছেলে। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল পচাগলা লাশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর কাশীনাথ হালদার চাষবাস করে সংসার চালাতেন। বড়ছেলে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছে। ছোট ছেলে পরিমল হালদার বাড়িতেই থাকতো। সেরকম কোনও কাজকর্ম করত না। ফলে তার আয় তেমন কিছু ছিল না। তার উপরে সে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। এনিয়ে বাড়িতে অশান্তি হত। কাশীনাথবাবু ছোট ছেলেকে ওই নেশা করা নিয়ে প্রায়ই বকাবকি করতেন।
এদিকে, বকাবকি করলেই বাবাকে মারধর করত পরিমল। কয়েকদিন আগে মেরে বাবার মাথাও ফাটিয়ে দেয় পরিমল। দিন পঁচেক আগে নেশা করে বাড়ি ফেরে পরিমল। তাকে বকাবকি করে তার বাবা। ওই বকাবকিতে রেগে গিয়ে বাবাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পরিমল। তারপর প্রতিবেশীর বাগানবাড়িতে মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেয়।
এদিকে, পাঁচ দিন পরিমলবাবুকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা তার খোঁজখবর শুরু করে। সবাই পরিমলকে চেপে ধরে। কিছু জানে না বলে পরিমল বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এরপর শনিবার পরিমল বিষ খেলে পাড়ার লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরমধ্যেই পরিমল তার এক পরিচিতকে বলে দেয়ে যে বাবাকে কুপিয়ে খুন করেছে। তারপর দেহ প্রতিবেশীর বাগানবাড়িতে পুঁতে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই দেহ উদ্ধার করে পুলিস। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।