স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কাশীনাথ হালদারের (৫৫) দুই সন্তান। তাঁর বড় ছেলে ভিনরাজ্যে কর্মরত। ছোট ছেলে পরিমল বাড়িতেই থাকতেন। কাশীনাথের স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। শনিবার রাতে বিষ খেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পরিমল। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলতলির জামতলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে যাওয়ার পথে নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করে নেন পরিমল। জানান, দিন কয়েক আগে অশান্তির সময় বাবাকে কুপিয়ে খুন করেছেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি বাগানে পুঁতে দেন। হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছলেও পরিমলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জবানবন্দি নিতে পারেনি তারা। পরে বিডিওর উপস্থিতিতে বাগানের মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহের কিছুটা অংশ পচে গিয়েছে। তবে ঘাড়ের কাছে কোপানোর দাগ রয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পরিমলের শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ঘাসমারা বিষ খেয়ে বেঁচে থাকার উদাহরণ বিশেষ নেই। এটি নাড়িভুড়ি পচিয়ে দেয়।