মহিলাকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মার! কে এই জেসিবি ওরফে তাজিমুুল?
এই সময় | ৩০ জুন ২০২৪
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর জন্য এক যুবক-যুবতীকে বেধড়ক মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। ঘটনাটি চোপড়া ব্লকের বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।এক তরুণ তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে 'জেসিবি' নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এলাকায় তার 'দাদাগিরি'-র চর্চা রয়েছে বিস্তর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক, যুবতী দুই জনেই বিবাহিত। তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি তুলেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর বিষয়টির সমাধান করার জন্য শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গত ২৮ জুন এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁদের একটি সালিশি সভায় ডাকা হয়। সেখানেই এই জেসিবি বা তাজিমুল ইসলাম তাঁদের বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, মহিলাকে মাটিতে ফেলে পিছনে, বাহুর নীচে মারছেন জেসিবি নামে পরিচিত ওই ব্যক্তি। কেউ কোনও টুঁ শব্দও করছেন না। এলাকায় এর আগেও একাধিক 'দাদাগিরি', 'নীতিপুলিশি'-র অভিযোগ উঠেছে জেসিবি ওরফে তাজিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ওই দুই যুবক যুবতীকে তাজিমুল ঘুসি মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়ার পর মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থাতেই লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো শুরু করে। যুবতীকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে। দুই জনকেই লাথি, ঘুষি মারতে থাকে তাজিমুল।
আশপাশে প্রায় শ' দুয়েক মানুষ দাড়িয়ে এই ঘটনা দেখলেও তাজিমুলকে আটকানোর চেষ্টা কেউ করেনি। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ওই যুবক, যুবতীকে পেটানোর পর হুমকি দিয়ে তাজিমুল তার দলবল নিয়ে এলাকা থেকে চলে যায়। এদিন সকাল থেকেই ওই মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই নিয়ে এলাকার একাধিক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। তাদের বক্তব্য, এই ব্যাপারে মুখ খুললে তাজিমুলের হাত থেকে নিস্তার নেই। বিরোধীদের একাংশের দাবি এই তাজিমুল নাকি রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত।
যদিও এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, 'তাজিমুল নামে ওই যুবকের আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশ এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।'
চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান জানান, চোপড়া ব্লকে কোনও বিরোধী নেই। সকলেই দলের কর্মী। তবে হামলাকারী ওই যুবক তৃণমূলের কোনও পদে নেই বলে জানান তিনি। এই ঘটনায় ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস জানান, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।