নিমতায় শ্যুটআউটের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার পুলিশের। ধৃতের নাম ফারুক আমমেদ। অন্যদিকে আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত হাফিজুর শেখ। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।বচসা থেকে হাতাহাতি, তারপর গুলিশনিবার রাতে বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হন বছর ৫২-র ব্যক্তি হাফিজুর শেখ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কোনও এক কারণে এদিন রাতে উত্তর দমদম পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফতুল্লাপুর এলাকার বাসিন্দা দুই প্রতিবেশী ফারুক আহমেদ ও হাফিজুর শেখের মধ্যে বচসা বাধে। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। বচসার মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয় হাফিজুর। তাঁর পেটে গুলি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে, অভিযুক্ত ফারুক আহমেদকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে নিমতা থানার পুলিশ।
২-৩ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগগুলিবিদ্ধ হাফিজুর রহমানের বাবার জানান, শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর ছেলেকে গুলি করে ফারুক আহমেদ। ফারুক একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেও দাবি হাফিজুরের বাবার। যদিও হাফিজুর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয় বলেও জানান তিনি। হাফিজুরের বাবা আরও জানান, তাঁর ছেলে মাছ চাষ করে। তবে সেই মাছ চাষ নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও গণ্ডগোল ছিল বলে তাঁর জানা নেই। হাফিজুরের বাবার অভিযোগ, তার ছেলেকে লক্ষ্য করে ২-৩ রাউন্ড গুলি চালান হয়েছে। তার মধ্যে একটি হাফিজুরের পেটে লাগে।
ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশেরপ্রতিবেশীরা জানায়, ফারুক ওই এলাকারই ছেলে। নিজেদের মধ্যে হয়ত কোনও গণ্ডগোল ছিল। আর সেই কারণেই সে গুলি করে হাফিজুরকে। তারা আরও জানাচ্ছে, প্রথমে ফারুক হাফিজুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলতে চলতেই উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তারপরেই গুলি করা হয় তাঁকে। গুলিবিদ্ধ হাফিজুরকে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন হাফিজুর। তদন্তে নেমেই ফারুককে গ্রেফতার করে নিমতা থানার পুলিশ। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, উভয়ের মধ্যে মধ্যে পুরনো কোনও বিবাদ ছিল কি না, সেই সমস্ত বিষয়গুলিই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। গোটা ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।