এক যুবক হাতে লাঠি নিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে এক তরুণ এবং তরুণীকে। প্রথমে তরুণীকে ফেলে তাঁর বাহুর নীচে বেদম প্রহার করে ওই ব্যক্তি, তারপর তাঁর পিছনে বারে বারে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে থাকেন ওই তরুণী। এদিকে যুবককে মারতে গেলে এক মহিলা এসে আটকাতে যান। নেটমাধ্যমে ভয়াবহ এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো চমকে উঠছে নেটিজেনরা।প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামে দীঘলগাঁও এলাকায়। সেখানে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখার জন্য এক যুগলের বিরুদ্ধে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ওই যুবক যুবতী। ওই মহিলা আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন এবং পরে ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ডাক দেওয়া হয় সালিশি সভার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই কিছু ব্যক্তি এই ঘটনায় যুবক এবং যুবতীকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থলে বহু মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু, কেউ ওই তরুণীর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। ঘটনায় এলাকাবাসী মুখ খুলতে নারাজ। শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সালিশি সভার নাম দেওয়া হয় 'ইনসাফ সভা'। শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এরপর তাঁদের আর্থিক জরিমানা করা হয় বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ এই ঘটনাকে তালিবানি শাসনের সঙ্গে তুুলনা করেছেন। এই ঘটনায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানহাইয়া লাল সংবাদ মাধ্যমে জানান, তিনি পুলিশ প্রশাসনকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। ঘটনায় যেই অপরাধী হোক না কেন তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ করা হয় এমনটাই চাইছেন তিনি।
এই ঘটনায় ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস বলেন, 'আমরা এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা শুরু করা হয়েছে। যাঁরা যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। আমরা ভিডিয়ো দেখে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। আইন যারা নিজের হাতে তুলে নেবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'