• থমকে গেল শিয়ালদা–বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল, রবিবারও ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুন ২০২৪
  • আজ, রবিবার যাত্রী সংখ্যা ট্রেনে কম থাকলেও ভোগান্তি কমল না। আজও চরম নাকাল হতে হল ট্রেন যাত্রীদের। আর তাতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বহু যাত্রী। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বারবার এই অভিযোগ ওঠায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আজ হাবড়া ও সংহতির মাঝে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি ঘটে। তাতেই যাত্রীদের চরম নাকাল হতে হয়। বাধ্য হয়ে অনেকে ট্রেন থেকে নেমে সড়কপথ ধরেন। ক্রমাগত রেলের এমন নানা গোলমালে যাত্রীরা এমনিতেই বীতশ্রদ্ধ। তার মধ্যে এমন ঘটনা বারবার ঘটায় ‘‌রেল ফেল’‌ করেছে বলে মন্তব্য করছেন বহু যাত্রী।

    আজ, রবিবার হাবড়া ও সংহতির মাঝে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শিয়ালদা–বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে প্রবল ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। রেলের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয়, যত দ্রুত সম্ভব রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আটকে থাকা যাত্রীদের ভ্যাপসা গরমে কষ্ট হতে থাকে। গলদঘর্ম অবস্থায় অনেকে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। এই ট্রেনে ছিলেন পরিচারিকা প্রতিমা দে। তিনি বলেন, ‘‌এই লাইনে বারবার ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। রেলের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। ফলে ভুগতে হয় যাত্রীদের। আজও ভুগছি।’‌


    আজ, রবিবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ এই সমস্যা দেখা দেয়। এদিন হাবড়ার লেভেল ক্রসিংয়ের গেটে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। যার জেরে বুম ভেঙে ছিটকে গিয়ে লাগে ওভারহেডের তারে। হাবড়া এবং সংহতির মাঝে ছিঁড়ে যায় ওভারহেডের তার। তখন থমকে যায় ট্রেন চলাচল। ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। সুতরাং ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদা–বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল। তাই যাত্রীরা ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন। অতীতের কথা টেনে আনেন অনেকে। সদ্য ঘটে যাওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ঘটনা থেকে শুরু করে নানা ঘটনা তুলতে থাকেন তাঁরা। যদিও দ্রুত মেরামতির কাজে হাত লাগায় রেল।

    এই পরিস্থিতিতে অনেকে গন্তব্যের দিকে না গিয়ে ফেরার পরিকল্পনা করেন। কারণ এই মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে বুঝতে পারেন যাত্রীরা। তাই সড়কপথে যাত্রা করেন। রবিবার এমনিতেই ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা কম থাকে। তার উপর বিকেলে যাত্রী সংখ্যা তুলনায় অনেকটা কম ছিল। কিন্তু সেই যাত্রীদেরও নাকাল হতে হল। দীর্ঘক্ষণ ধরে নানা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। কতক্ষণে এই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে তার জন্য অপেক্ষাও করেন বহু যাত্রী। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)