মাদুলি কেনার নামে সোনার দোকান থেকে ২.৫ লাখ টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুন ২০২৪
রানিগঞ্জ, ডোমজুড়, বজবজের পর এবার হুগলির চণ্ডীতলা। আবারও দুষ্কৃতীদের টার্গেট সোনার দোকান। এবার মাদুলি কেনার নামে সোনার দোকানে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে হুগলির চণ্ডীতলার বরতাজপুরের। সোনার গহনা চুরি করার সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে। এই অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বারবার রাজ্যে সোনার দোকানগুলিকে যেভাবে চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে তাতে আতঙ্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে যখন ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় সোনার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল না। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতী সোনার দোকানে ঢোকে। প্রথমে তারা ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে মাদুলি দেখাতে বলে। তারা ব্যবসায়ীকে জানাই রুপোর মাদুলি কিনতে চাই। এরপর ব্যবসায়ী তাদের সামনে একের পর এক মাদুলি বের করেন। এরই মধ্যে দুষ্কৃতীদের চোখে পড়ে বেশ কিছু সোনার হার, আংটি। ব্যবসায়ী যখন সোনা দেখাতে ব্যস্ত তখনই একের পর এক আংটি, সোনার গহনা তুলে নিয়ে পকেটে লুকিয়ে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এদিকে, দুষ্কৃতীদের অন্য একজন ততক্ষণে দোকানে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপরেও তাদের মতলব বুঝে উঠতে পারেনি ব্যবসায়ী। তিনি তাদেরকে সাধারণ ক্রেতা বলেই ভেবেছিলেন।
এরপর ব্যবসায়ী অসাবধান হয়ে পড়লেই দোকান থেকে দৌড়ে পালাই দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, ব্যবসায়ী দোকান থেকে বেরোনোর আগে তারা উধাও হয়ে যায়। পুরো ঘটনার দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী মাদুলি দেখানোর সময় কীভাবে একের পর এক গহনা, আংটি উধাও করে ফেলছে দুষ্কৃতীরা।
ওই সোনার দোকানের মালিকের নাম জাকির হোসেন। তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। তার ছেলে শেখ জিশান তখন দোকানে ছিলেন। সেই সময় এই ঘটনা ঘটেছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে লক্ষাধিক টাকার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে দোকান মালিকের দাবি, এ দিনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবকরা ওই এলাকার বাসিন্দা নয়। তাদের আগে কখনও সেখানে দেখেননি তিনি। তাছাড়া দুজনে হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল। ফলে সে ক্ষেত্রে তারা ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা হতে পারে বলে অনুমান মালিকের। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় চণ্ডীতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সোনার দোকানের মালিক। তার ভিত্তিতে সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চুরির ঘটনায় বিহারের গ্যাং জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছে। এক্ষেত্রেও বিহারের গ্যাং জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।