মাদুলি কিনতে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে গয়নার বাক্স নিয়ে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতী। হুগলির চণ্ডীতলার বরতাজপুরে একটি সোনার দোকানে ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজে গয়নার বাক্স হাতানোর দৃশ্য ধরা পরেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ওই সোনার দোকানে দুই ব্যক্তি ক্রেতা সেজে আসে। দোকান সেই সময় ফাঁকাই ছিল। সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। একজন দোকানে থাকা মালিকের ছেলেকে রুপোর মাদুলি দেখাতে বলে। তারপর একটার পর একটা গহনা দেখতে চায়। অপর জন দোকানের গেটের সামনে বসে থাকে। দোকান মালিক শেখ জাকির হোসেন সেই সময় দোকানে ছিলেন না। তাঁর ছেলে শেখ জিশান একাই ছিলেন দোকানে। ড্রয়ার খুলে গয়না দেখাতে থাকেন জিশান। অভিযোগ, সেই সময় কিছু বোঝার আগেই দোকানের ড্রয়ারে হাত ঢুকিয়ে গয়নার বাক্স হাতিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়েছে। জিশান জানাচ্ছেন, ওই দুই দুষ্কৃতী নিজেদের মধ্যে হিন্দিতে কথা বলছিল
দোকান মালিকের ছেলে শেখ জিসান বলেন, 'দুই ব্যক্তি মাদুলি দেখতে দেখতে ড্রয়ারে হাত দিয়ে ঘাটাঘাটি করছিল। সেখান থেকে অনেক আংটি ভরা একটা প্যাকেট ও একটা চেনের প্যাকেট নিয়ে চলে যায়। যখন নিয়ে যায় তখন কিছুই বুঝতে পারিনি। পরে বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ করি।' দোকানের মালিক শেখ জাকির হোসেন বলেন, 'আমি দুপুরে ছেলেকে দোকানে রেখে বাড়ি গিয়েছিলাম। সেই সময় দু'জন ক্রেতা সেজে এসে মাদুলি দেখতে দেখতে আংটি, চেন তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি।'
ঘটনায় ইতিমধ্যেই চণ্ডীতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। এই বিষয়ে পুলিশ জানাচ্ছে, দুই দুষ্কৃতী কালো মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিল। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, 'এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিহার বা অন্য কোনও রাজ্যের যোগ পাওয়া যায়নি।'
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনা। কোথাও কোথাও পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলির লড়াইও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেই সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এরই মাঝে ফের একবার সোনার দোকানে ঘটে গেল লুঠপাটের ঘটনা।