কীভাবে পাচার? কলাগাছের গুড়ি ও বাঁশ দিয়ে বেঁধে একটি কাঠামো তৈরি করা হয়। সেই কাঠামোর মধ্যে গোরুগুলির গলা আটকে দেওয়া হয়। গোরুর মুখ থাকে কাঠামোর উপরে। দেহের বাকী অংশ থাকে জলে। এরকম অবস্থায় ওই গোরুশুদ্ধ কাঠামো ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। কলাগাছের গুঁড়ি গোরুগুলিকে জলে ভেসে থাকতে সাহায্য করে। ওপারে গিয়ে সেই কাঠামো ধরে নেয় ওপারের দালাল। এভাবেই চলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গোরু পাচার।
রবিবার কোচবিহারের সিঙ্গিমারী নদীতে কলাগাছের গুঁড়ি ও বাঁশের কাঠামোয় বেঁধে পাচার করা হচ্ছিল ওইসব গোরু। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের গোপালপুর সেক্টরের পদ্মমারী বিওপির জওয়ানরা অভিযান চালায়। নদীতে স্পিড বোট নামানো হয়। বিএসএফকে আসতে দেখে গোরুগুলি নদীতে ফেলেই পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। তারপর বিএসএফ জওয়ানরা ওই ৬০টি গোরু উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বিএসএফের তরফে আরও জানানো হয় যে সীমান্তে চোরাকারবারিদের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তের আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমনে অতিরিক্ত সর্তকতা বজায় রেখে চলেছে এবং সীমান্তের সার্বক্ষণিক নজরদারি বজায় রাখছে।