শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে সাংবিধানিক প্রধান এতদিনে যা বললেন তাতে তাঁকে কথায় আমি ওয়েলকাম করছি। তিনি অ্যাসেসমেন্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি দেখেছেন ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে আর ভাতা দিতে গিয়ে রাজ্য দেউলিয়া হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, ইরিগেশন এর বাঁধ সব ভেঙ্গে গেছে, পরিকাঠামগত উন্নয়ন জিরো কোথাও রাস্তাঘাট হচ্ছে না। লোডশেডিং ফিরে এসেছে, রাজ্য সরকার ঘুরিয়ে ইলেকট্রিক থেকে স্ট্যাম্প ডিউটি বাড়িয়ে টাকা তোলার কাজ চালিয়েছে।
রাজ্যের বেকারত্বর কথা টেনে এনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু বলেন, দু কোটির উপর বেকারত্ব। মমতা ব্যানার্জি কোন রিক্রুটমেন্ট করতে পারেনি। বেতন দেওয়ার ভয়ে। পেনশনার্স কর্মচারি সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি পিএফের টাকা পিটিশন করেও পাচ্ছেন না। এবং এফ আর বি-এম ঋণ গ্রহণের যে লক্ষ্যমাত্রা সেটাকেও অতিক্রম করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। একেবারে দেউলিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। তাই রাজ্যপাল তিনি দেরি হলেও ব্যাপারটা এসেসমেন্ট করে বুঝেছেন। আমি যেহেতু এই রাজ্যের মন্ত্রী ছিলাম, এমপি ছিলাম, এমএলএ ছিলাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হাঁড়ির খবরটা আমি জানি। এইরকম চলতে থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে এই রাজ্যে হয় বেতন বন্ধ হবে না হলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে। নইলে হাত তুলে বলতে হবে আমি দেউলিয়া আমাকে বাঁচাও।
প্রতিবেশী রাজ্যের কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, পাশের রাজ্য ওড়িশায় বিজেপি এসে সুভদ্রা ভাতা চালু করে ৪২০০ টাকা করে মায়েদের দিয়ে দিল। ৩১০০ টাকায় ধান কিনছে ছত্তীসগঢের বিজেপির সরকার। আমরা জানি শিল্প না আনলে রাজ্যের কখনো আয় বাড়বে না, বেকারত্ব দূর হবে না। রাজস্থানে সাড়ে চারশ টাকায় গ্যাস দিচ্ছে বিজেপির সরকার। শিল্প আনলে রাজ্যের ট্যাক্স হিসেবে আয়ের ইকোনমিক্যাল ফ্লো বাড়বে। আর কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া করার দরকার কী! আপনি প্রধানমন্ত্রী কৃষক যোজনা প্রকল্প চালু করে দেন ৬০ পার্সেন্ট কেন্দ্র দেয়, ৪০% রাজ্য দেয়। আপনি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও যোজনাতে চলে যান কন্যাশ্রী টাকা ওখান থেকে অনেক চলে আসবে।