• তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জের! ২ পুলিস কর্তাকে সরানোর সুপারিশ বোসের
    ২৪ ঘন্টা | ০১ জুলাই ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: গতকালই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে রাজ্যের অর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে দরবার করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি যে খুব সঙ্গীন তা তিনি অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। এবার আরও একধাপ। রাজ্যের দুই শীর্ষ পুলিস আধিকারিকদের তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করার জেরেই কী এই সুপারিশ? এমন প্রশ্ন উঠছে।

    সিপি ও ডিসি সেন্ট্রালকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এনিয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রের কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগকে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত হয়েছিল তার জেরেই কি এই সুপারিশ। উঠছে প্রশ্ন।

    রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে ওই দুই পুলিসকর্তাকে শুধু সরানোর কথাই বলেননি বরং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছেন। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের একটি নির্দিষ্ট রক্ষাকবচ রয়েছে। সেই রক্ষাকবচকে পাত্তা না দিয়ে ওই দুই পুলিককর্তা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছেন। নিয়ম তারা মানেননি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

    এনিয়ে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ছোটবেলায় বাচ্চারা যখন অন্যায় করত তখন এবং ধরা পড়ে গার্জেন কলের ভয় পেত তখন বাড়িতে এসে সে বলত বাবা ওই শিক্ষক দুষ্টু। রাজ্যপালের এরকম বালখিল্যপনার জন্য রাজ্যের মানুষ ভুগতে পারে না। রাজ্যপালের সুরক্ষাকবচ রয়েছে ঠিকই কিন্তু তার জন্য নিজের কন্যা সমান মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করব! বাংলার মানুষ যে একটা সাদা হাতি পুষছে তা এই কারণে? পুলিস প্রথম দিন থেকে বলছে একজন মহিলা নির্যাতিত হয়ে অভিযোগ করেছেন তার জন্য পুলিস প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করবে। কোনও তদন্ত পুলিস করেনি। কারণ রাজ্যপালের একটা সাংবাধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে। পুলিসের অনুসন্ধানে ভয় পায় কে? নিজে যে আগুন লাগিয়েছেন তার থেকে বাঁচার জন্য এরকম সস্তার নাটক করছেন রাজ্যপাল।

    অন্যদিকে, সিপিএম নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক পদের মর্যাদা অনুযায়ী কাজ করতে পারছেন না। তিনি যদি নিশ্চিত থাকেন তিনি কোনও অপরাধ করেননি তাহলে তদন্তে আপত্তি কিসের? আমার মনে হয় যে কোনও রাজ্যপাল কোনও অভিযোগ হলে নিজেই বলবেন তদন্ত হোক। তাঁর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন কেন? রাজ্যপাল তো প্রকৃতপক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। তিনি যদি ওই সুপারিশ করে থাকেন তাহলে অন্যায় করেছেন। তাঁর ওই সুপারিশ করার কথা রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্যপাল ঠিক রাজ্যপালের ভূমিকা পালন করছেন না।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)