• পঞ্চায়েত স্তরে এবার বদলি নীতি আনছে রাজ্য সরকার!‌ জেলাশাসকদের কাছে এসেছে ফরমান
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জুলাই ২০২৪
  • পঞ্চায়েত স্তরে কি বদলি নীতি আসছে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সরকারি স্তরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফল করেছে। তবে বেশ কিছু পঞ্চায়েত থেকে নানা অভিযোগও এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত স্তরে চালু হচ্ছে বদলি নীতি বলে সূত্রের খবর। আর তাই এবার থেকে পঞ্চায়েত দফতরে কর্মরত কোনও কর্মীই তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে থাকতে পারবেন না। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আর এটা চালু হলে ঘুঘুর বাসা ভাঙবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

    পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, যাঁরা তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে আছেন তাঁদের তাড়াতাড়ি বদলি করতে হবে। এই মর্মে পঞ্চায়েত দফতর থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকদের কাছে এমন নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। আর তাই একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কারা তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই জায়গায় আছেন। এই তালিকা তৈরি হওয়ার পরই শুরু হবে বদলি। তাই দ্রুত বদলির নির্দেশ কার্যকর করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কদিন আগে দুর্নীতির অভিযোগে মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত সমিতির এক অফিসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাই দুর্নীতিতে যুক্ত যাতে কেউ না থাকতে পারেন তার জন্যই বদলি নীতি।


    পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করার একমাত্র কারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। সেই পরিষেবা যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে পেতে পারেন তার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে চলতি বছরের শেষের মধ্যে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। এই কাজটি পঞ্চায়েত স্তর থেকেই হয়ে থাকে। তাই সেখানে স্বচ্ছতা আনতে চাওয়া হচ্ছে। এখানে কোনও মৌরশিপাট্টা চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার ফলে পঞ্চায়েতের কর্মী এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের মধ্যে অশুভ আঁতাত গড়ে ওঠে। তার জেরে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই বদলি নীতিতে ভরসা করা হচ্ছে।

    বাংলায় এখন ৩৩২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩ হাজার ৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। আবাস, একশো দিনের কাজ, জল–আলো–রাস্তা এবং নানা প্রকল্প রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় পঞ্চায়েত দফতরকে। কাজ করতে হয় কর্মীদের। এই বদলি নীতি চালু হলে একদিকে যেমন পঞ্চায়েতের কাজে গতি আসবে অপরদিকে তেমনই অশুভ আঁতাত গড়ে উঠতে পারবে না। প্রশাসনের শীর্ষ অফিসাররা মনে করেন, এতে আসলে লাভ হবে সাধারণ মানুষের। তাঁরা আরও বেশি করে পঞ্চায়েতের স্তরের প্রকল্প যা আছে সেগুলির সুফল পাবেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)